আষাঢ়ী একাদশীর উপবাস কখন ভাঙবেন? শুভ মুহূর্ত, কী খাবেন, কী খাবেন না? জানুন বিস্তারিত!

আষাঢ়ী একাদশীর উপবাস কখন ভাঙবেন? শুভ মুহূর্ত, কী খাবেন, কী খাবেন না? জানুন বিস্তারিত!

জ্যৈষ্ঠ মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একাদশী হিসেবে আষাঢ়ী একাদশী পরিচিত। আজ, ৬ জুলাই ২০২৫, আষাঢ়ী একাদশী পালিত হচ্ছে। আষাঢ়ী একাদশী উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ওয়ারকরী (ভক্ত) পান্ধারপুরে বিঠঠলের দর্শনের জন্য পৌঁছেছেন।

এছাড়াও, রাজ্যের অনেক বিঠঠল মন্দিরেও বিশেষ সজ্জা করা হয়েছে। আষাঢ়ী একাদশীকে দেবশয়নী একাদশীও বলা হয়। আষাঢ়ী একাদশী উপলক্ষে ঘরে ঘরে উপবাস রাখা হয়। তবে এই উপবাস কখন ভাঙতে হবে, এবং এর নির্দিষ্ট সময় কী, সেই সম্পর্কে আমরা তথ্য জানতে চলেছি।

আষাঢ়ী একাদশীর উপবাস কখন ভাঙবেন?
হিন্দু ধর্মে প্রতিটি উৎসবের পাশাপাশি ব্রত-উপবাসেরও গুরুত্ব রয়েছে। এর মধ্যে একাদশী, সংকষ্টী, প্রদোষ, পূর্ণিমার মতো মাসিক ব্রতগুলি অন্তর্ভুক্ত। একাদশীর ব্রত ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গীকৃত। প্রতি মাসে দুটি একাদশী হয়, যার মধ্যে একটি কৃষ্ণপক্ষে এবং অন্যটি শুক্লপক্ষে আসে। এভাবে বছরে ২৪টি একাদশী হয়। এই ২৪টি একাদশীর মধ্যে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষে আসা আষাঢ়ী একাদশী অত্যন্ত বিশেষ বলে বিবেচিত হয়। কোটি কোটি ওয়ারকরী প্রতি বছর এই একাদশীর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। বলা হয় যে, একাদশীর ব্রত পালন করলে ব্যক্তি পাপ থেকে মুক্তি পায় এবং পুণ্য লাভ করে।

রবিবার, ৬ জুলাই, আষাঢ়ী একাদশীর ব্রত পালনের পর প্রথা অনুযায়ী পরের দিন ব্রত ভাঙা হয়। এই বছরের আষাঢ়ী একাদশীর ব্রত পারণ অর্থাৎ উপবাস সোমবার, ৭ জুলাই তারিখে ভাঙা উচিত। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সকাল ৫.২৯ থেকে সকাল ৮.১৬ পর্যন্ত উপবাস ভাঙার জন্য অত্যন্ত শুভ সময় থাকবে।

উপবাস ভাঙার সময় কী খাবেন, কী খাবেন না?
উপবাস ভাঙার সময় কী খাবেন, এই প্রশ্ন প্রায়শই আসে। একাদশীর উপবাস পরের দিন ভাঙতে হয় বলে অনেকেই সকালে অফিসে পৌঁছানোর তাড়াহুড়োয় কেবল চা-বিস্কুট খেয়ে সরাসরি দুপুরে খাবার খান। কিন্তু এটি সঠিক নয়।

যদি আপনি একাদশীর উপবাস করে থাকেন, তবে পরের দিন সকালে আপনি ফল বা ফলের রস নিতে পারেন। কলা, কমলালেবুর মতো ফল সেবন করুন। এছাড়াও, রাতে জলে ভেজানো ড্রাইফ্রুটস সকালে খাওয়া উপকারী হয়। এর পাশাপাশি আলু, ভাত, গম, জোয়ারের মতো খাবারও খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

উপবাসের পরের দিন মশলাদার বা ভাজা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এতে পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং হজমে প্রভাব পড়তে পারে। তাই হালকা খাবার গ্রহণ করুন। খাদ্যতালিকায় সুজির উপমা, শিরা, চালের পায়েস, স্যুপ, ভাত, জোয়ারের রুটি বা ডালিয়ার উপমার মতো খাবার খেতে পারেন।

একাদশীর উপবাস ভাঙার সময় খাবারে মিষ্টি পদ তৈরি করুন। চালের বা সেমাইয়ের পায়েস, শিরা জাতীয় খাবার তৈরি করুন। পায়েসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। উপবাস ভাঙার সময় পায়েস খেলে দুর্বলতা আসে না। তবে পায়েস বানানোর সময় চিনির ব্যবহার কম পরিমাণে করুন। এর পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করুন, এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *