গড়িয়াহাটের বণিকবাড়ির রহস্যময় হত্যাকাণ্ড, ৪০ বছর পরেও দগদগে ক্ষত

গড়িয়াহাটের বণিকবাড়ির রহস্যময় হত্যাকাণ্ড, ৪০ বছর পরেও দগদগে ক্ষত

কলকাতা: ১৯৮৩ সালের ৩০শে জানুয়ারি রাতে কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকায় ঘটে যাওয়া এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড আজও রহস্যাবৃত। শীতের রাতে যখন গড়িয়াহাটের ফুটপাতে আড্ডা চলছিল, হঠাৎ দমকলের গাড়ির সাইরেন এবং ‘বণিকবাড়িতে আগুন’ লাগার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই লালবাজারে আসা একটি ফোন কলের সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, যেখানে ঘরের আলো নিভিয়ে এবং ভেতর থেকে আওয়াজ বন্ধ করে রহস্যজনক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।

গড়িয়াহাট থানার ওসি হীরালাল মজুমদার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যে দৃশ্য দেখেন, তা ছিল শিউরে ওঠার মতো। একটি ছোট ঘরে জামাকাপড় ও কম্বলের স্তূপের নিচে লুকানো ছিল দেবযানী বণিক নামে এক তরুণীর রক্তাক্ত ও পচন ধরা মৃতদেহ। তার গলায় ফাঁসের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল, যা প্রাথমিকভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ধারণাকে নস্যাৎ করে দেয়। পুলিশি জেরায় পরিবার প্রথমে মৃতদেহটি শনাক্ত করতে অস্বীকার করলেও, পরে এক কিশোর তাকে ‘বউদি’ বলে চিনিয়ে দেয়। এই ঘটনায় খুন, প্রমাণ লোপাট ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া এবং প্রভাবশালী মহলের ভূমিকা নিয়ে আজও গড়িয়াহাটের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও জল্পনা রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *