ভারতে প্রতি চারজনে একজন গরিব, বিশ্বব্যাঙ্কের দাবিতে মোদি সরকারের নীতি প্রশ্নের মুখে

নয়াদিল্লি: বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালেও ভারতের প্রতি চারজন নাগরিকের মধ্যে একজন দরিদ্র। প্রায় ৩৫ কোটিরও বেশি মানুষ এখনও পুষ্টিকর খাবার, পোশাক এবং মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের মতো মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। এমনকি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকারও তাদের কাছে অধরা। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতের প্রায় ৭ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার।
বিশ্বব্যাঙ্কের এই দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘গরিব কল্যাণ’ নীতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মোদি সরকারের ১১ বছর পার হলেও, ২০১১ সালের পর দারিদ্র্যসীমার মাপকাঠি নির্ধারণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, যেখানে দিনপিছু আয় ৩ ডলার থেকে ৪.২০ ডলার (প্রায় ৩৬০ টাকা) হলে দরিদ্র ধরা হয়, সেখানে বিশ্বব্যাঙ্ক ভারতের জন্য দৈনিক ৪.২০ ডলারকে নতুন মানদণ্ড হিসেবে প্রস্তাব করেছে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, সরকার দারিদ্র্যের প্রকৃত চিত্র লুকাতে চাইছে এবং মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স (এমপিআই)-এর মতো সূচকের ওপর নির্ভর করছে, যা প্রকৃত পরিস্থিতি তুলে ধরে না। এই পরিস্থিতিতে, ভারতের মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে থাকা এবং ধনী-গরিবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভেদ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।