আকাশের কান্নাভেজা জয়গাথা! ক্যান্সারে আক্রান্ত বোনকে উৎসর্গ করলেন ঐতিহাসিক ১০ উইকেট

আকাশের কান্নাভেজা জয়গাথা! ক্যান্সারে আক্রান্ত বোনকে উৎসর্গ করলেন ঐতিহাসিক ১০ উইকেট

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এজবাস্টন টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় দল রেকর্ড গড়া ৩৩৬ রানের বিশাল জয় পেয়েছে। ভারতের এই ঐতিহাসিক জয়ে ফাস্ট বোলার আকাশ দীপের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে তিনি ৪ উইকেট নিয়েছিলেন, আর দ্বিতীয় ইনিংসে তার শিকার ছিল ৬ উইকেট। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে আকাশ দীপ মোট ১০ উইকেট দখল করেন, যা তার ক্যারিয়ারের এক বিশেষ অর্জন।

টিম ইন্ডিয়ার এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আকাশ দীপ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি তার এই জয় ক্যান্সারে আক্রান্ত বোনকে উৎসর্গ করেছেন, যিনি গত দুই মাস ধরে এই কঠিন রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। আকাশ দীপ জানান, ম্যাচের সময় যখনই তিনি বল হাতে নিয়েছিলেন, তখনই তার বোনের মুখ তার চোখের সামনে ভেসে উঠতো। আকাশ আরও বলেছেন যে তার বোনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।

চেতেশ্বর পূজারার সাথে অকপট আকাশ
আকাশ দীপ চেতেশ্বর পূজারার সাথে একান্তে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “এই কথা আমি কাউকে বলিনি। আমার বড় বোন গত দুই মাস ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং সে সুস্থ আছে। সে যে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয় আমার এই পারফরম্যান্স দেখে সে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে। যখনই আমি বল ধরেছিলাম, তার মুখ আমার সামনে ভেসে উঠছিল। আমি এই ম্যাচটি তাকে উৎসর্গ করতে চাই, আমি তার মুখে হাসি দেখতে চাই। আমরা সবাই তোমার সাথে আছি।”

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডে এক টেস্ট ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হলেন আকাশ দীপ। এর আগে শুধুমাত্র চেতন শর্মা ১৯৮৬ সালে এজবাস্টনেই এই কীর্তি গড়েছিলেন। এখন ইংল্যান্ডে যেকোনো টেস্ট ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড আকাশ দীপের নামে।

ইংল্যান্ডে ভারতীয় বোলারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান (টেস্ট ম্যাচ)

১০/১৮৭ আকাশ দীপ, বার্মিংহাম ২০২৫

১০/১৮৮ চেতন শর্মা, বার্মিংহাম ১৯৮৬

৯/১১০ জসপ্রীত বুমরাহ, ট্রেন্ট ব্রিজ ২০২১

৯/১৩৪ জহির খান, ট্রেন্ট ব্রিজ ২০০৭

বিদেশে ভারতের সবচেয়ে বড় জয় (রানের হিসাবে)

৩৩৬ বনাম ইংল্যান্ড, বার্মিংহাম ২০২৫

৩১৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নর্থ সাউন্ড ২০১৯

৩০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা, গল ২০১৭

২৯৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া, পার্থ ২০২৪

২৭৯ বনাম ইংল্যান্ড, লিডস ১৯৮৬

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *