স্ত্রীকে বাদ দিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে ‘সেই নোংরা কাজ’ করতেন জামাই! শেষমেশ অতিষ্ঠ হয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন

উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে মানবতাকে লজ্জিত করার মতো এক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে স্ত্রী এবং শাশুড়ি এক জামাইয়ের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে, জামাই আত্মহত্যা করাকে শ্রেয় মনে করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্ত্রী, শাশুড়ি-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্যামপুরী কলোনির এক যুবক ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃতের ভাই তার স্ত্রী, শাশুড়ি এবং পরিচিত এক যুবকের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মান্ডি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। বর্তমানে পুলিশ ঘটনার তদন্তে ব্যস্ত। জানা গেছে, ধোবি ঘাট সংলগ্ন শ্যামপুরী কলোনির বাসিন্দা সৌরভ (পিতা মহাবীর) এর বিয়ে ২০২১ সালের ২ জুলাই থানা নানৌতার সহগজাদজ্ঞান মহল্লার বাসিন্দা শালুর সাথে হয়েছিল। তাদের ৪ বছরের একটি পুত্রসন্তানও আছে।
কেন এই ভয়ঙ্কর পরিণতি?
সৌরভের ভাই রবি সাইনি অভিযোগ করেছেন যে, বিয়ের আগে শালুর কোতয়ালী মান্ডি এলাকার রবিন নামের এক যুবকের সাথে সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, স্ত্রী শালু এবং শাশুড়ি মমতেশ, রবিনের সাথে মিলে সৌরভের উপর ৫ লাখ টাকা দেওয়া এবং সম্পত্তি বিক্রি করে শ্বশুরবাড়িতে থাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সৌরভ এর বিরোধিতা করছিলেন। তিন অভিযুক্ত তাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানোর এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল। সৌরভকে তার পরিবার থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। একটানা মানসিক নির্যাতন এবং পারিবারিক কলহের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে সৌরভ ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তদন্ত চলছে
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। শুক্রবার গভীর রাতে কোতয়ালী মান্ডি থানায় মৃতের ভাই রবি সাইনি শালু, তার মা এবং যুবক রবিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এসপি সিটি ব্যোম বিন্দল এই মামলা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে বলেছেন যে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মৃতের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।