উত্তরপ্রদেশের লখনউতে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে একজন বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে তার ভাড়াটিয়া মহিলার বাথরুমে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবনের লাইভ ভিডিও দেখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি তখন সামনে আসে যখন ভুক্তভোগী মহিলা সন্দেহজনক ক্যামেরাটি খুঁজে পান এবং এর বিরুদ্ধে বাড়িওয়ালার কাছে অভিযোগ করেন। ঘটনাটি আরও গুরুতর মোড় নেয় যখন বাড়িওয়ালা কথিতভাবে মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন এবং তাকে হুমকি দেন।

বাহরাইচের বাসিন্দা ওই তরুণী লখনউতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তিনি জানান, ২৪ জুন তিনি তার বাথরুমে একটি লুকানো ক্যামেরা দেখতে পান। এই ক্যামেরাটি ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, যার মাধ্যমে বাড়িওয়ালা তার ব্যক্তিগত কার্যকলাপের লাইভ ভিডিও দেখছিল। ভুক্তভোগী জানান, “আমি যখন ক্যামেরাটি দেখলাম, তখন আমি হতবাক হয়ে গেলাম। এটি আমার গোপনীয়তার চরম লঙ্ঘন ছিল।” তিনি অবিলম্বে বাড়িওয়ালার কাছে অভিযোগ করেন, কিন্তু এর জবাবে তাকে অপমান এবং হুমকির সম্মুখীন হতে হয়।

বাড়িওয়ালার লজ্জাজনক কীর্তি ও পুলিশি পদক্ষেপ
ভুক্তভোগীর মতে, তিনি যখন ক্যামেরাটি সরানোর চেষ্টা করেন, তখন বাড়িওয়ালা প্রথমে ক্ষমা চান। কিন্তু যখন তিনি পুলিশে অভিযোগ করার কথা বলেন, তখন বাড়িওয়ালার আচরণ বদলে যায়। কথিতভাবে তিনি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী বলেন, “আমাকে নিজেকে ঘরে তালাবদ্ধ করতে হয়েছিল যাতে আমি সুরক্ষিত থাকতে পারি।” এরপর বাড়িওয়ালা হুমকি দেন যে, যদি তিনি এই ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে তিনি তার বোন এবং মাকে মেরে ফেলবেন।

ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে দুবাগা পুলিশ অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইন্সপেক্টর অভিনব বর্মা জানান, “আমরা বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি এবং তদন্ত শুরু করা হয়েছে।” পুলিশ গোপন ক্যামেরাটি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং প্রযুক্তিগত পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে। এই ঘটনাটি শহরে গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এটি কেবল একজন মহিলার গোপনীয়তার লঙ্ঘনের ঘটনাই নয়, বরং সমাজে মহিলাদের সুরক্ষা এবং সম্মান নিয়েও প্রশ্ন তোলে। ভাড়া থাকা মহিলাদের জন্য এটি একটি সতর্কতা যে, তাদের চারপাশে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের ঘটনা কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে না, বরং সামাজিক বিশ্বাসকেও দুর্বল করে।