ভারত বানাচ্ছে ‘সমুদ্রের দানব’! অত্যাধুনিক টর্পেডোয় শত্রুদের ঘুম কেড়ে নেওয়ার প্রস্তুতি

ভারতের নিরাপত্তা কৌশল এখন কেবল স্থল ও আকাশসীমাতেই সীমাবদ্ধ নেই। এবার ভারত মহাসাগরের গভীরতায়ও শত্রুদের ধ্বংস করার প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে। এই লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) একটি অত্যাধুনিক হেভি ওয়েট টর্পেডো (HWT) তৈরি করছে, যা সমুদ্রের গভীরে শত শত কিলোমিটার দূর থেকেও শত্রুদের ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।
DRDO দ্বারা তৈরি করা এই নেক্সট-জেনারেশন HWT ভারতকে আন্ডারওয়াটার ওয়ারফেয়ার-এ এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে যে টর্পেডো রয়েছে, সেগুলোর রেঞ্জ সাধারণত ৪০-৫০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু নতুন টর্পেডোটি ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূর থেকে শত্রুকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারবে – যা যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।
এই অ্যাডভান্সড টর্পেডোতে কী বিশেষত্ব থাকবে?
১. নতুন প্রপালশন টেকনোলজি: বিদ্যমান টর্পেডোগুলি সাধারণত অভ্যন্তরীণ ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করে, যেগুলির গতি এবং রেঞ্জ সীমিত থাকে। কিন্তু নতুন HWT একটি হাইব্রিড প্রপালশন সিস্টেম বা সম্পূর্ণ নতুন প্রপালশন মেকানিজম ব্যবহার করবে, যা গতি, সহনশীলতা এবং দীর্ঘ-পাল্লার লক্ষ্যে বিপ্লব আনবে।
২. রিয়েল-টাইম গাইডেন্স সিস্টেম: এই অ্যাডভান্সড টর্পেডোর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর গাইডিং সিস্টেম। এটি কেবল লঞ্চিং সাবমেরিনের উপর নির্ভরশীল থাকবে না। এতে মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট (MPA) এবং স্যাটেলাইট থেকে রিয়েল-টাইম ডেটা লিঙ্ক থাকবে, যার ফলে এটি চলমান লক্ষ্যবস্তুও ট্র্যাক করতে এবং আঘাত হানতে পারবে।
৩. AI এবং স্মার্ট নেভিগেশন: এমন টর্পেডোতে আধুনিক সেন্সর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যার ফলে এটি নিজের পথে আসা বাধা থেকে নিজে বাঁচতে পারবে এবং শত্রুর ফাঁদে পড়বে না।
নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াবে
এই নতুন টর্পেডোটি ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। এর দীর্ঘ পাল্লা, উচ্চ গতি, রিয়েল-টাইম গাইডেন্স এবং অত্যাধুনিক প্রপালশন সিস্টেম এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক আন্ডারওয়াটার অস্ত্রগুলির কাতারে এনে দাঁড় করাবে।