শুভমন গিলের জাদুতে বাঁচলেন গম্ভীর! প্রাক্তন ক্রিকেটারের ‘লাইফলাইন’ সতর্কবার্তা

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টন টেস্টে ভারতের ৩৩৬ রানের ঐতিহাসিক জয় কেবল পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে ১-১ সমতায় ফেরায়নি, বরং ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর-এর জন্যও নিয়ে এসেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। এই জয়ে অধিনায়ক শুভমন গিল এবং তার তরুণ দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই পারফরম্যান্সের পর প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুরিন্দর খান্না গম্ভীরকে সতর্ক করে বলেছেন যে, এই জয় তার জন্য একটি ‘লাইফলাইন’ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এর সাথে সাথে খান্না গিল এবং তার দলকে এই অসাধারণ প্রদর্শনের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন।
এজবাস্টনে খেলা দ্বিতীয় টেস্টে ভারত টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই মাঠে জয় লাভ করে। শুভমন গিল প্রথম ইনিংসে ২৬৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন, যার ফলে ভারত ইংল্যান্ডের সামনে ৬০৮ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করায়। অন্যদিকে, পেসার আকাশ দীপ ১০ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেন। মোহাম্মদ সিরাজ এবং রবীন্দ্র জাদেজাও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। এই জয় ভারতকে সিরিজে ফিরে আসার সুযোগ দেয় এবং গম্ভীর-এর ওপর বাড়তে থাকা চাপ কমায়।
গৌতম গম্ভীর ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার কার্যকালের শুরুটা দারুণ ছিল, যখন ভারত দুবাইতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জেতে। তবে, টেস্ট ক্রিকেটে তার কোচিং কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজে ভারত ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়। এরপর অস্ট্রেলিয়া সফরেও ভারত হেরে যায়, যার কারণে তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) এর ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিডস-এ প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেটে পরাজয় গম্ভীর-এর কৌশল এবং খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছিল।
সুরিন্দর খান্না আইএএনএস (IANS)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “গম্ভীর-এর কার্যকালে আমরা নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং প্রথম টেস্টে হেরেছি, তাই তিনি এখানে জীবনদান পেয়েছেন। এর কৃতিত্ব শুভমন গিল এবং দলের। এখান থেকে আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে। ক্রিকেট অসাধারণ অনিশ্চয়তার খেলা। যদি আমরা আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলি, তাহলে ফলাফল আসবে। আশা করি বুমরাহ ফিরে আসবেন, যা অবশ্যই সহায়ক হবে। এই মুহূর্তে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভারতের জন্য সহায়ক, আপনি কখনো জানেন না কখন বোলিংয়ের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হবে এবং সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের দলে টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়রা আছেন, যারা তাদের আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলেন।”