মাত্র ৩ ছবিতে কাজ, বাবার বয়সী অভিনেতার প্রেমে মগ্ন! অভিনেত্রীকে ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, কে ছিলেন তিনি?

বলিউড জগতে অনেক প্রতিভাবান অভিনেত্রী এসেছেন, যাদের ক্যারিয়ার ছিল স্বল্পস্থায়ী। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েছেন, আবার কেউ কেউ দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি বরণ করেছেন। মধুবালা, নিम्मी থেকে মীনা কুমারী, দিব্যা ভারতীসহ অনেক অভিনেত্রীই অল্প বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। আজ আমরা এমন একজন অভিনেত্রীর কথা বলবো, যিনি মাত্র তিনটি ছবিতে কাজ করেছিলেন, যার মধ্যে একটি ছিল সুপারহিট। তিনি তার বাবার বয়সী একজন অভিনেতার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে, এই অভিনেত্রী খুব অল্প বয়সেই মারা যান এবং তার মৃত্যু এখনো রহস্যে ঘেরা। আমরা যার কথা বলছি, তিনি আর কেউ নন, জিয়া খান।
১৯৮৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী জিয়া খানের আসল নাম ছিল নাফিসা রিজভী খান। লন্ডনে বেড়ে ওঠা জিয়ার শৈশব ছিল কঠিন, কারণ তার বাবা তাকে পরিত্যাগ করেছিলেন। জিয়ার মা রাবিয়া আমিন ছিলেন ৮০-এর দশকের একজন অভিনেত্রী। মায়ের অভিনয় দেখে জিয়ারও নাচ এবং অভিনয়ে আগ্রহ জন্মায়। তিনি লন্ডন ও নিউইয়র্কে পড়াশোনা করেন। তার প্রথম ছবি ছিল ২০০৭ সালের ‘নিঃশব্দ’, যেখানে তিনি অমিতাভ বচ্চনের সাথে অভিনয় করেন। এরপর আমির খানের সুপারহিট ছবি ‘গজনি’ (২০০৮) এবং সর্বশেষ ‘হাউসফুল’ (২০১০) ছবিতে কাজ করেন। ২০১৩ সালের ৩ জুন মাত্র ২৫ বছর বয়সে জিয়া খানকে মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা আত্মহত্যা বলে বিবেচিত হয়েছিল। তার সাথে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে তিনি অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির সাথে তার সম্পর্ক, গর্ভপাত এবং ক্যারিয়ার-সম্পর্কিত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন। সুরজ পাঞ্চোলি তার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও, ২০২৩ সালে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। তবে, জিয়ার মা এটিকে একটি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন, যা আজও অমীমাংসিত।