গর্ভধারণ পরীক্ষা, গোপন ক্যামেরা! বালগৃহে কিশোরীদের পলায়ন ঘিরে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

গর্ভধারণ পরীক্ষা, গোপন ক্যামেরা!  বালগৃহে কিশোরীদের পলায়ন ঘিরে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি শম্ভাজিনগরের বিদ‍্যাদীপ বালগৃহে ৯ জন নাবালিকা মেয়ের পলায়নের ঘটনা এক গুরুতর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত ৩০ জুন এই মেয়েদের ব্যস্ত রাস্তায় পালাতে দেখা যায়, যেখানে পুলিশ তাদের ধরে হয় বালগৃহে ফিরিয়ে দেয়, নয়তো কিছু মেয়েকে তাদের বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়। এই সব কটি মেয়েই এর আগে যৌন শোষণ ও ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।

মেয়েদের পালানোর এই ঘটনা বিধানসভা পর্যন্ত পৌঁছেছে, যার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী অদিতি তটকরে জানিয়েছেন যে, পুরো ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, কিন্তু এখন এই ৯ জন নাবালিকা মেয়ের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে বিদ‍্যাদীপ বালগৃহের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

বালগৃহে যে গুরুতর অভিযোগগুলো উঠেছে
অভিযোগ উঠেছে যে, বালগৃহের এমন একটি ঘরে সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল যেখানে মেয়েরা পোশাক পরিবর্তন করত। যৌন নিপীড়নের শিকার মেয়েদের যখন বালগৃহে আনা হতো, তখন তাদের উপর “শুদ্ধ জল” ছিটানো হতো। মেয়েদের পেটে ব্যথা হলে তাদের গর্ভধারণ পরীক্ষা (Pregnancy Test) করা হতো। যদি তারা অসুস্থ হয়ে পড়ত, তাহলে চিকিৎসার নামে শুধু এক ধরনের ওষুধ দেওয়া হতো। এর ফলে অনেক মেয়েই দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ থাকত।

পালানোর চেষ্টা করা মেয়েদের হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বালগৃহে মেয়েদের সাহায্যকারী সমাজকর্মী হর্ষা ঠাকুর এই গুরুতর অভিযোগ করেছেন, যার দাবি এই ঘটনাগুলোর কথা মেয়েরা নিজেদের বয়ানে শিশু কল্যাণ কমিটির সামনে রেখেছে। বয়ান রেকর্ড করার সময় তিনি নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশও মেয়েদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।

ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য শিশু উন্নয়ন উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। অমরাবতী থেকে বিজেপির বিধায়ক শ্রীকান্ত ভারতীয় ১ জুলাই মঙ্গলবার বিধান পরিষদে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *