ট্রাম্পের খোলা হুমকি! ব্রিকস-এর সঙ্গে যুক্ত হলে ১০% অতিরিক্ত শুল্ক বসাবে আমেরিকা

ট্রাম্পের খোলা হুমকি! ব্রিকস-এর সঙ্গে যুক্ত হলে ১০% অতিরিক্ত শুল্ক বসাবে আমেরিকা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সোশ্যাল হ্যান্ডেল ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ (Truth Social) একটি খোলা হুমকি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, “যে কোনো দেশ যারা ব্রিকস (BRICS) এর আমেরিকা বিরোধী নীতির সাথে যুক্ত হবে, তাদের উপর ১০% অতিরিক্ত শুল্ক (ট‍্যারিফ) আরোপ করা হবে। এই নীতিতে কোনো ব্যতিক্রম থাকবে না। এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ আরও লিখেছেন, “আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কপত্র এবং চুক্তিগুলি সোমবার, ৭ জুলাই দুপুর ১২:০০ (পূর্বাঞ্চলীয় সময়) থেকে বিতরণ করা হবে।” ট্রাম্পের এই কড়া অবস্থান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

আমেরিকা কেন অন্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ করে?
আমেরিকা কর্তৃক অন্য দেশের উপর শুল্ক আরোপের বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। এর কিছু সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা: শুল্ক আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়িয়ে স্থানীয় শিল্পকে প্রতিযোগিতায় সুবিধা দেয়, যার ফলে কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সুরক্ষিত থাকে।

বাণিজ্য ভারসাম্য উন্নত করা: শুল্ক আমদানি কমিয়ে বাণিজ্য ভারসাম্য উন্নত করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে সেই দেশগুলোর সাথে যেখানে বাণিজ্য ঘাটতি বেশি।

কৌশলগত শিল্প সুরক্ষা: কিছু ক্ষেত্রে, কৌশলগত শিল্পগুলোকে (যেমন ইস্পাত বা প্রযুক্তি) বিদেশী নির্ভরতা থেকে রক্ষা করার জন্য শুল্ক আরোপ করা হয়।

চাপ সৃষ্টি: শুল্ক অন্য দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করা বা অন্যায্য বাণিজ্য প্রথা (যেমন ডাম্পিং) বন্ধ করা।

রাজস্ব আদায়: শুল্ক সরকারের জন্য রাজস্বের উৎসও হতে পারে, যদিও আধুনিক অর্থনীতিতে এটি কম গুরুত্বপূর্ণ।

পাল্টা ব্যবস্থা: যদি কোনো দেশ মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমেরিকা পাল্টা শুল্ক আরোপ করে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

কোনো দেশ কি অন্য দেশকে শুল্ক আরোপের হুমকি দিতে পারে?
হ্যাঁ, এমনটা করা যেতে পারে। কোনো দেশ অন্য দেশকে শুল্ক আরোপের হুমকি দিতে পারে। এটি সাধারণত একটি কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয় যাতে বাণিজ্য আলোচনায় সুবিধা পাওয়া যায়, অন্যায্য বাণিজ্য প্রথা রোধ করা যায়, বা অন্যান্য নীতিগত লক্ষ্য অর্জন করা যায়। উল্লেখ্য, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই তার কঠোর মনোভাবের কারণে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় রয়েছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *