কে এই বৈভব তানেজা? এলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’তে পেলেন বড় দায়িত্ব!

কে এই বৈভব তানেজা? এলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’তে পেলেন বড় দায়িত্ব!

বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিলিয়নেয়ার এবং টেসলার (Tesla) মালিক এলন মাস্ক যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গিয়ে তার নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’র (America Party) ঘোষণা করলেন, তখন সবার নজর ছিল তার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। এবার মাস্ক এই পার্টির জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৈভব তানেজাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। বৈভব তানেজা টেসলা কো ম্পা নির সিএফও (CFO) বা চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসারও (Chief Financial Officer)।

বৈভবের এই নতুন পার্টিতে কোষাধ্যক্ষ (Treasurer) পদে নিয়োগ ৪ জুলাই আমেরিকান ফেডারেল ইলেকশন কমিশন (FEC)-এ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এলন মাস্ক ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল আইন’-এর বিরোধিতায় নতুন এই পার্টির ঘোষণা করেছেন। মাস্কের অভিযোগ, ট্রাম্প সরকারের এই নতুন আইন কেবল ধনীদের পকেট ভরবে, যখন এর ফলে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র আমেরিকানদের ক্ষতি হবে। মাস্ক নতুন এই পার্টিকে আমেরিকার মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন।

বৈভব তানেজা কে এবং তার নতুন দায়িত্ব কী?
বৈভব তানেজা বর্তমানে টেসলার চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার (CFO)। তিনি ২০১৭ সালে টেসলায় যোগ দেন এবং ২০২৩ সালে সিএফও হন। এর আগে তিনি কো ম্পা নির চিফ অ্যাকাউন্টিং অফিসার ছিলেন। বৈভব মূলত ভারতের বাসিন্দা। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন এবং একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পিডব্লিউসি (PwC – PricewaterhouseCoopers) থেকে। এরপর তিনি সোলারসিটি (SolarCity) কো ম্পা নিতে যোগ দেন, যা পরে টেসলা কিনে নেয়।

কোষাধ্যক্ষ হিসেবে তানেজা পার্টির আর্থিক স্বচ্ছতা, অনুদান ব্যবস্থাপনা এবং আইনি সম্মতি তদারকি করবেন। তিনি পার্টির প্রচারাভিযানের ব্যয়, নির্বাচনী অনুদান এবং এফইসি (FEC) রিপোর্টিংয়ের জন্য দায়ী থাকবেন।

২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মাস্কের প্রবেশ
এই মাসেই এলন মাস্ক ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করেছেন। মাস্ক এই দল গঠনের পেছনের কারণ হিসেবে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল আইন’-এর বিরোধিতা উল্লেখ করেছেন। পার্টি নিজেকে দুটি ঐতিহ্যবাহী দল – রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট – থেকে আলাদা বলে দাবি করে। পার্টির মূল ফোকাস হল মত প্রকাশের স্বাধীনতা, উদ্ভাবন প্রচার এবং কম সরকারি হস্তক্ষেপ। ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে এলন মাস্কের এই পদক্ষেপ আমেরিকান রাজনীতিতে একটি নতুন বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *