শিক্ষকের লালসায় শেষ প্রাণ, চার পাতার চিঠি ফাঁস করল নাবালিকার যন্ত্রণা

আসামের তিনসুকিয়া জেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে। স্কুল শিক্ষক ভিকু ছেত্রীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, যার জেরে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৬ জুলাই নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করা নাবালিকার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে চার পাতার একটি সুইসাইড নোট। চিঠিতে সে শিক্ষকের কুকীর্তি এবং অন্য তিন শিক্ষকের চাপ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেছে। পরিবারের অভিযোগ, ২৬ মে স্কুল ছুটির পর রান্নাঘরে একা পেয়ে ভিকু ছেত্রী মেয়েটিকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পানীয় খাইয়ে যৌন নির্যাতন করেন। ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ছাত্রী ৩ জুন প্রথমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তখন তাকে বাঁচানো গিয়েছিল। তবে মানসিক যন্ত্রণা ও সামাজিক চাপ থেকে মুক্তি পায়নি সে।
পুলিশ ১১ জুন অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করলেও, স্কুল ও স্থানীয়দের থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মেলেনি বলে পরিবারের অভিযোগ। সুইসাইড নোটে ছাত্রী জানিয়েছে, কীভাবে সে দীর্ঘদিন ভয়, অপমান ও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিল। অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে অন্য শিক্ষকরা তার উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন। মেয়েটির মৃত্যুর পর তার দাদা নতুন করে এফআইআর দায়ের করেন, যেখানে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারা যুক্ত হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় সমাজকর্মী ও সংগঠনগুলো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপের আবেদন উঠছে, যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।