বিখ্যাত হোটেলে খাবারে মাছি, মালিকের নির্লজ্জ জবাবে জনতা ক্ষিপ্ত!

বিখ্যাত হোটেলে খাবারে মাছি, মালিকের নির্লজ্জ জবাবে জনতা ক্ষিপ্ত!

ঠাকুরদ্বারের টিকোনিয়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত নূর করিম হোটেল, যা তার সুস্বাদু খাবারের জন্য পরিচিত ছিল, বর্তমানে এমন একটি ঘটনার কারণে শিরোনামে এসেছে যা এর সুনাম নষ্ট করেছে। সম্প্রতি কিছু গ্রাহক তাদের খাবারে মাছি পাওয়ার এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন, যার পরে হোটেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং নির্লজ্জ মনোভাব সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। এই ঘটনা কেবল হোটেলের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না, বরং খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রাহক পরিষেবার প্রতি তাদের উদাসীনতাও তুলে ধরে।

নূর করিম হোটেলে খাবার উপভোগ করতে আসা গ্রাহকরা তখন ধাক্কা খান, যখন তাদের ডিম কারির প্লেটে একটি মাছি ভাসতে দেখা যায়। এটি দেখে গ্রাহকরা তাৎক্ষণিকভাবে খাবার ছেড়ে দেন এবং হোটেলের মালিকের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু মালিক এটিকে গুরুত্বের সাথে না নিয়ে প্রথমে মাছিটিকে মেথির পাতা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গ্রাহকরা জোর দিলে, মালিক তার কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করেন, যিনি মাছির উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। এরপর মালিকের উত্তর আরও চমকপ্রদ ছিল, “কোনো ব্যাপার না, এমনটা তো বাড়িতেও হয়!” এটি শুনে গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং হোটেলে টাকা পরিশোধ করে আর কখনো ফিরে না আসার শপথ নেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল
এই পুরো ঘটনার ভিডিও গ্রাহকরা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে গ্রাহকরা বলছেন যে, মাছি তাদের খাবারে ছিল এবং যদি তারা সময় মতো দেখতে না পেত, তাহলে এটি তাদের পেটে চলে যেতে পারত, যা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারত। ভিডিওতে আরও দেখানো হয়েছে যে, হোটেলে রাখা মৌরি এবং মিশ্রি-তেও পিঁপড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, যা হোটেলের পরিচ্ছন্নতার প্রতি অবহেলাকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। এটি দেখে প্রশ্ন ওঠে যে, আমরা যে হোটেলটির উপর ভরসা করি, সেটি কি সত্যিই নিরাপদ?

খাদ্য বিভাগের নীরবতা
এই ঘটনাটি দুই দিন আগের, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সত্ত্বেও খাদ্য বিভাগ এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই নীরবতা উদ্বেগজনক, কারণ এমন ঘটনা মানুষের স্বাস্থ্যের সাথে আপস করতে পারে। খাদ্য বিভাগ কি তাদের দায়িত্ব পালন করবে, নাকি হোটেল মালিক এভাবেই অবহেলা করতে থাকবেন? এই প্রশ্নটি বাইরে খেতে ভালোবাসেন এমন প্রতিটি মানুষের মনেই রয়েছে।

গ্রাহকদের অসন্তোষ এবং শিক্ষা
এই ঘটনা গ্রাহকদের মধ্যে রাগ এবং হতাশা সৃষ্টি করেছে। অনেকে বলেছেন যে, তারা আর কখনো এই হোটেলে যাবেন না। কেউ কেউ তো এমনও পরামর্শ দিয়েছেন যে, বাইরে খাবার খাওয়ার আগে হোটেলের পরিচ্ছন্নতা এবং খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করা জরুরি। এই ঘটনা আমাদের শেখায় যে, স্বাদের পেছনে নিজের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা উচিত নয়। পরের বার যখন আপনি কোনো হোটেলে যাবেন, তখন খাবারের গুণগত মান এবং রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *