ভারতের প্রতিবেশী দেশে মহাবিপদ! জলের অভাবে শহর হবে জনশূন্য, ৩০ লাখ মানুষ হবে বাস্তুহারা!

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মারাত্মক জল সংকটের মুখে পড়তে চলেছে। একটি নতুন রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে যে, ৭১ লাখ জনসংখ্যার এই শহরটি আগামী ৫ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ শুকিয়ে যেতে পারে। এর অর্থ হলো, এখানকার মানুষের জন্য পান করার মতো জল খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়বে। অলাভজনক সংস্থা মার্সি কর্পস এই সতর্কতা জারি করেছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূগর্ভস্থ জলর অত্যধিক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এই শহরকে ভয়াবহ জল সংকটের দ্বারপ্রান্তে এনে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, তালেবান সরকার কি এই সংকট মোকাবিলায় সক্ষম? তাদের কাছে কি জল সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি, অর্থ এবং পরিকল্পনা আছে? রিপোর্টে এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
এপ্রিল ২০২৫-এ প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, যদি বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে কাবুলের সমস্ত জল উৎস শুকিয়ে যেতে পারে। এর ফলে শুধু শহরের জলর চাহিদা পূরণ করা আসাম্ভব হবে না, বরং প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক দশকে কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলর স্তর ২৫ থেকে ৩০ মিটার (প্রায় ৮২ থেকে ৯৮ ফুট) পর্যন্ত কমে গেছে। দ্রুত হারে জল উত্তোলন এবং প্রাকৃতিক পুনঃসঞ্চালনের ধীর গতির কারণেই এই পতন হচ্ছে। এই জল সংকটের পেছনে শুধু প্রাকৃতিক কারণই নয়, বরং নীতিগত ব্যর্থতা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তনও দায়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তুষারপাত ও বৃষ্টির ধরনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে, যা ভূগর্ভস্থ জলর স্তরকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, কাবুলের দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা বিদ্যমান সম্পদের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে।