পাকিস্তানের ব্যর্থতা! ভারতের এই চালের কাছে হার মানলো পাকিস্তান, একটিও জেট ধ্বংস হয়নি – মার্কিন দাবি

‘অপারেশন সিন্দূর’ চলাকালীন পাকিস্তান ভারতের একটিও যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে পারেনি। বরং, এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর ছড়ানো একটি বিভ্রান্তি ছিল, যা পাকিস্তানি বিমানবাহিনী বুঝতে পারেনি। এমনটাই দাবি করেছেন আমেরিকার প্রাক্তন F-15E স্ট্রাইক ঈগল এবং F-16 থান্ডারবার্ডের পাইলট রায়ান বোডেনহাইমার। রায়ান বোডেনহাইমার ভারতীয় বিমানবাহিনীর এই বিভ্রান্তিকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সফল সামরিক কৌশল বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি এর কৃতিত্ব রাফাল জেটের এক্স-গার্ড জ্যামিং ডিকয় (X-Guard jamming decoy) এবং স্পেকট্রা ইডব্লিউ স্যুটের (SPECTRA EW suite) উপর দিয়েছেন, যা পাকিস্তানের পিএল-১৫ই (PL-15E) ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে বিভ্রান্ত করতে সফল হয়েছিল। বোডেনহাইমারের এই প্রকাশ পাকিস্তানের দাবিগুলির সত্যতা উন্মোচন করেছে।
‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সময় পাকিস্তান ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছিল, যার মধ্যে তিনটি রাফাল ফাইটার জেটের নামও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যদিও, ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তানের দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এমনকি পাকিস্তানও তাদের দাবিগুলির সত্যতা প্রমাণ করার জন্য কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান যেসব যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করছিল, সেগুলো আসলে জেট ছিল না। বরং সেগুলো ছিল ধ্বংস হওয়া ডিকয় (এক্স-গার্ড)। এই অভিযানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কৌশল পাকিস্তানি বিমানবাহিনীকে সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত করে দিয়েছিল।
এক্স-গার্ড প্রযুক্তি কী?
এক্স-গার্ড একটি ইসরায়েলি-নির্মিত ফাইবার-অপটিক টোড ডিকয় সিস্টেম, যা শত্রুর রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি ৩০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি ডিভাইস যা রাফাল যুদ্ধবিমানের পিছনে একটি তারের মাধ্যমে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এটি রাফালের স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক যুদ্ধ স্যুটের সাথে একত্রিত করা হয়েছে।
এক্স-গার্ড কীভাবে কাজ করে?
এক্স-গার্ড ৩৬০ ডিগ্রি এলাকায় জ্যামিং সিগন্যাল প্রেরণ করে, যা শত্রুর রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সক্রিয় সিকারগুলিকে বিভ্রান্ত করে। এটি আসল জেটের মতো একটি নকল রাডার সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রুকে ধোঁকা দিতে সাহায্য করে। একই সাথে, এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাডার সিগন্যালের ডপলার শিফট এবং সিগনেচার কপি করে সেটিকে সঠিকভাবে পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম। এক্স-গার্ড এই সমস্ত কাজ রিয়েল টাইমে করে, এর ফলে শত্রু মনে করে যে সে জেটটিকে ধ্বংস করেছে, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না।