১ অগাস্ট থেকে ট্যারিফের ভয়… চীন আমেরিকাকে হুমকি দিল, এবার পরিণতি দেখবে গোটা বিশ্ব!

চীন আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তারা বলেছে যে, যদি ১ অগাস্ট থেকে আবার চীনা পণ্যের উপর ভারী ট্যারিফ (শুল্ক) আরোপ করা হয়, তাহলে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। মঙ্গলবার চীন বলেছে যে, যদি তাদের গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে এর পরিণতি ভালো হবে না, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US Deal) সাথে চুক্তি করা দেশগুলোকেও ভুগতে হতে পারে। তারা আমেরিকার সাথে চুক্তি করা দেশগুলোকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি দিয়েছে।
ওয়াশিংটন এবং বেইজিং জুনে ব্যবসা নিয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছিল, যার ফলে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অনেক কিছু এখনও অস্পষ্ট। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের উপর ভারী ট্যারিফ আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যা ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হতে পারে। এতে জুনে তৈরি হওয়া শান্তি চুক্তি আবার ভেঙে যেতে পারে এবং বৈশ্বিক উত্তেজনা বাড়তে পারে।
চীনের পাল্টা হুঁশিয়ারি
আমেরিকা চীনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, যদি ১২ অগাস্টের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তাহলে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। এর জবাবে চীনের হুঁশিয়ারি এসেছে। চীনা সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি (People’s Daily) ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ‘হুমকি দেওয়ার মনোভাব’ বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে যে, যদি কোনো দেশ চীনকে গ্লোবাল চেইন থেকে বাদ দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
ভিয়েতনাম চুক্তি নিয়ে কেন ক্ষুব্ধ চীন?
আমেরিকা এবং ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি গত সপ্তাহেই হয়েছে, যেখানে চীন থেকে ট্রানজিট হয়ে আসা পণ্যের উপর ভারী ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে। এই কারণে চীন এই চুক্তি পছন্দ করেনি এবং তারা গ্লোবাল চেইন থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা করছে। চীন থেকে ট্রানজিট হয়ে আসা পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফ আরোপের কথা বলা হয়েছে।
আমেরিকা-চীনের মধ্যে ট্যারিফ
ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্স (Institute for International Economics) জানিয়েছে যে, চীনা রপ্তানির উপর গড় আমেরিকান ট্যারিফ এখন ৫১.১% এবং আমেরিকান পণ্যের উপর গড় চীনা শুল্ক ৩২.৬%। এমন পরিস্থিতিতে এই আশঙ্কা আরও বাড়তে পারে। আমেরিকা এটি বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যার জবাব চীনও দিতে পারে।
বাজারেও ভয়ের পরিবেশ
চীন এবং আমেরিকার মধ্যে চলা এই টানাপোড়েনের কারণে বিশ্ব বাজারে ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে। ভারতীয় বাজারও ভয়ের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। ১ অগাস্ট থেকে আবার ট্যারিফ যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে ইক্যুইটি মার্কেটে নতুন বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকছেন।