শৌচাগারে গিয়েছিলেন মহিলা, পিছু পিছু গেলেন দেওর; যা দেখলেন, তা দেখে সেখানেই অজ্ঞান!

শৌচাগারে গিয়েছিলেন মহিলা, পিছু পিছু গেলেন দেওর; যা দেখলেন, তা দেখে সেখানেই অজ্ঞান!

ফতেপুরে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এক মহিলা শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে একা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। অনেকক্ষণ পর তার দেওরও তার পিছু নেন। দেওর তার বৌদিকে এমন অবস্থায় দেখলেন যে তিনি সম্পূর্ণরূপে হতবাক হয়ে গেলেন। বৌদিকে দেখেই দেওর অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

লাহসি গ্রামের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী এই মহিলার নাম মীনা কুমারী। শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ তিনি বাচ্চাদের বলেছিলেন যে তিনি শৌচাগারে যাচ্ছেন এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পরও যখন তিনি ফিরে এলেন না, তখন তার দেওর এবং বাচ্চারা তাকে খুঁজতে বের হয়। কিন্তু তাদের দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়।

জমিতে পাওয়া গেল রক্তাপ্লুত দেহ
শনিবার সন্ধ্যা প্রায় ৪টে নাগাদ মীনাকে একটি জমিতে পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি জীবিত ছিলেন না। জমিতে তার রক্তাপ্লুত দেহ পড়ে ছিল। পাশেই একটি প্লাস্টিকের কৌটা পড়েছিল। বৌদিকে এমন অবস্থায় দেখে দেওর কাঁদতে শুরু করেন। বৌদি-বৌদি বলে চিৎকার করতে থাকেন। তার আওয়াজ শুনে অন্য গ্রামবাসীরা সেখানে জড়ো হন।

তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতার দেওরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, তারা তদন্ত করেছে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ দাবি করেছে যে তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ কিছু লোককে আটকও করেছে। সিও জগত কনোজিয়া বলেছেন যে পরিবারের পক্ষ থেকে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় মহিলার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দিনের বেলায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে।

পরিবারের করুণ পরিণতি
মহিলার স্বামী তিন বছর আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। মহিলার তিনটি সন্তান রয়েছে। ১৭ বছর বয়সী বড় ছেলে পাঞ্জাবে থাকে এবং সেখানেই কাজ করে। ১২ বছর বয়সী মেয়ে শিবানী তার মায়ের সাথে বাড়ি এবং কৃষিকাজে সহায়তা করত। ১০ বছর বয়সী ছেলে নাইক পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। পরিবার আলাদা হওয়ার পর এই পরিবারটি সাড়ে তিন বিঘা জমি পেয়েছিল। এই জমিতে চাষাবাদ করে এই মহিলা তার পরিবারের ভরণপোষণ করতেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *