‘ইংলিশ বলতে পারে না, ভারতীয়দের দেশ থেকে তাড়াও’, কোন দেশে চলছে এই বিতর্ক?

‘ইংলিশ বলতে পারে না, ভারতীয়দের দেশ থেকে তাড়াও’, কোন দেশে চলছে এই বিতর্ক?

ব্রিটেনের এক মহিলা কর্তৃক ভারতীয় এবং এশিয়ান সম্প্রদায়কে নিয়ে করা মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের সাথে সম্পর্কিত, যেখানে মহিলা বিমানবন্দরের কর্মীদের ভাষা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন এবং একটি পোস্টের মাধ্যমে তাদের ‘নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর’ কথা বলেছেন।

মহিলাটির পরিচয় লুসি হোয়াইট হিসাবে জানা গেছে। লুসি মাইক্রোব্লগিং সাইট X (আগে টুইটার) এ লিখেছেন যে, তিনি সম্প্রতি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন এবং সেখানে তিনি বিপুল সংখ্যক ভারতীয় ও এশিয়ান কর্মী দেখতে পেয়েছেন। লুসির মতে, এই কর্মচারীরা ইংরেজি বলতে পারেন না। তিনি লিখেছেন, “আমি তাদের ইংরেজিতে কথা বলতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে বর্ণবাদী বলেছে।” লুসি এখানেই থামেননি, তিনি আরও লিখেছেন, “তারা নিজেরাও জানত যে আমি ঠিক, তবুও তারা আমাকে চুপ করাতে বর্ণবাদী কার্ড খেলেছে। এমন লোকদের তাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো উচিত।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া
লুসীর এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কেউ কেউ তাকে সমর্থন করলেও, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী তাকে বর্ণবাদী মানসিকতাগ্রস্ত বলে অভিহিত করেছেন। একজন ব্যবহারকারী জিজ্ঞাসা করেছেন, “যদি তারা ইংরেজি না বলত, তাহলে আপনি কীভাবে জানলেন যে তারা আপনাকে বর্ণবাদী বলেছে?” অন্য একজন লিখেছেন, “আপনি নিজে কি হিন্দি বলেন, যে অন্য ভাষা নিয়ে এত রাগ করছেন?” আরেকজন ব্যবহারকারী স্পষ্ট বলেছেন যে লুসীর পুরো কথা মিথ্যা এবং বানোয়াট মনে হয়। অনেকে জানিয়েছেন যে, হিথ্রো বিমানবন্দরে এশিয়ান বংশোদ্ভূত অনেক কর্মী আছেন, কিন্তু তারা সকলেই পেশাদার এবং ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে সক্ষম। কেউ কেউ লুসীর চিন্তাভাবনাকে “বিশুদ্ধ বর্ণবাদ” বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে, এমন লোকদের আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত।

এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও বর্ণবাদী আচরণ এবং অভিবাসীদের প্রতি বৈষম্যের বিতর্ককে উসকে দিয়েছে। এর আগেও অনেকবার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের আমেরিকা এবং ইউরোপে এমন বর্ণবাদী আচরণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যে, একজন আমেরিকান ব্যক্তি একজন ভারতীয়কে “ব্রাউন ম্যান” বলে দেশে ফিরে যেতে বলছেন। লুসীর পোস্ট বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এবং এটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *