খেলতে গিয়ে তৃতীয় তলার জানালার বাইরে ঝুলছিল ৪ বছরের শিশু, ভিডিওতে দেখুন তারপর কী ঘটল?

পুনে থেকে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একটি চার বছরের শিশু খেলতে খেলতে জানালার বাইরে চলে এসে ঝুলছিল। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তৃতীয় তলায় ঝুলতে থাকা একটি নিষ্পাপ শিশুকে দেখা যাচ্ছে।
তারপর কী হলো?
ঘটনাটি পুনের কাতরাজ এলাকার। কাতরাজের গুজর নিমবালকারওয়াড়ি খোপড়ে নগরের সোনাবানে বিল্ডিংয়ে অবস্থিত একটি বাড়িতে সকাল ৯টায় এক মা তার চার বছরের মেয়ে ভাবিকা চন্দনেকে একা রেখে তার অন্য মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন, তখনই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
শিশুটি কীভাবে জানালার বাইরে গেল?
শিশু খেলতে খেলতে বেডরুমের জানালা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। তার জানালায় খেলার অভ্যাস ছিল, কিন্তু এবার তার পা পিছলে যায় এবং সে জানালার গ্রিল থেকে বাইরে বেরিয়ে আটকে যায়।
প্রতিবেশীরা শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনল
শিশুটির বাইরে দিকে ঝুলছিল এবং গ্রিল ধরে নিজের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছিল এবং জোরে জোরে চিৎকার করতে শুরু করে। শিশুটিকে জানালার কাছে ঝুলতে থাকা অবস্থায় সামনের বিল্ডিংয়ের একজন ব্যক্তি দেখতে পান। উমেশ সুতার নামের প্রতিবেশী শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে ফায়ার সার্ভিসের তাণ্ডেল যোগেশ চ্যাবন দ্রুত বাইরে আসেন। তিনি দেখেন শিশুটি জানালায় আটকে আছে, এরপর তিনি দৌড়াতে দৌড়াতে ভবনের তৃতীয় তলায় পৌঁছান কিন্তু দরজায় তালা লাগানো ছিল।
ফায়ার সার্ভিসের তাণ্ডেল যোগেশ চ্যাবন শিশুর জীবন বাঁচালেন
কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মা এসে পড়েন এবং দ্রুত তালা খোলেন। এরপর তাণ্ডেল যোগেশ চ্যাবন গ্রিলে আটকে থাকা চার বছরের শিশু ভাবিকাকে অত্যন্ত সাবধানে কৌশল অবলম্বন করে ঘরের ভেতরে টেনে আনেন এবং তার জীবন বাঁচান। যোগেশ চ্যাবন পুনের ফায়ার সার্ভিসে তাণ্ডেল পদে রয়েছেন। তার সময়মতো পৌঁছানোর কারণে শিশুটির জীবন বেঁচে গেছে, অন্যথায় শিশুটির সাথে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
অভিভাবকদের কাছে আবেদন
ফায়ার সার্ভিস অভিভাবকদের কাছে আবেদন করেছে যে, তারা যেন তাদের বাচ্চাদের প্রতি অসতর্ক না থাকেন। বাচ্চাদের বাড়িতে একা ছাড়বেন না, সবসময় তাদের দিকে মনোযোগ দিন। সামান্য অসাবধানতাও বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। বাচ্চাদের নিরাপত্তা সবচেয়ে জরুরি।
VIDEO : खेळताना 4 वर्षीय चिमुकली खिडकीबाहेर, ग्रिलला लटकली; पुण्यात थरकाप आणणारी घटना, अखेर… #Pune pic.twitter.com/T1mUSG80EP
— Maharashtra Times (@mataonline) July 8, 2025