আমি না থাকলে কী হতো? জীবনের গভীর শিক্ষা

আমি না থাকলে কী হতো?  জীবনের গভীর শিক্ষা

রামায়ণের সুন্দরকাণ্ডের একটি পর্ব, ‘আমি না থাকলে কী হতো?’, জীবনের গভীর দর্শন উন্মোচন করে, যা পাঠকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। এই পর্বে হনুমানজির অভিজ্ঞতা দেখায়, ঈশ্বরের ইচ্ছায় সবকিছু নিয়ন্ত্রিত, এবং আমরা কেবল তাঁর পরিকল্পনার যন্ত্র। যখন রাবণ ক্রোধে সীতাকে হত্যার জন্য তরবারি নিয়ে ছুটে আসেন, হনুমানজি প্রথমে প্রতিরোধের কথা ভাবেন। কিন্তু মন্দোদ্রী রাবণকে থামান, এবং হনুমানজি বুঝতে পারেন, ঈশ্বর সীতার রক্ষার দায়িত্ব অন্যের হাতে দিয়েছেন।

পরে, ত্রিজটার স্বপ্নে লঙ্কা দহনের কথা শুনে হনুমানজি বিচলিত হন, কারণ তাঁকে এমন কিছু করতে বলা হয়নি। কিন্তু রাবণের সৈন্যরা যখন তাঁর লেজে আগুন ধরায়, তখন তিনি বুঝতে পারেন, ঈশ্বরই লঙ্কা দহনের ব্যবস্থা করেছেন। বিভীষণের হস্তক্ষেপে তাঁর প্রাণ বাঁচে, যা প্রমাণ করে, ঈশ্বর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। হনুমানজি বলেন, “আমরা কেবল যন্ত্র, সবকিছু ঈশ্বরের ইচ্ছায় ঘটে।”

এই পর্ব শেখায়, ‘আমি না থাকলে কী হতো?’ ভাবনা অর্থহীন। ধর্মীয় বিশ্লেষকদের মতে, এটি আমাদের অহংকার ত্যাগ করে ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখতে শেখায়। এই গল্প জীবনের অনিশ্চয়তায় শান্তি খুঁজতে অনুপ্রাণিত করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *