২০ মাসে গীতার শ্লোক মুখস্থ: আলিপুরদুয়ারের সাত্বিকার নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

২০ মাসে গীতার শ্লোক মুখস্থ: আলিপুরদুয়ারের সাত্বিকার নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

মাত্র ২০ মাস বয়সে ভগবদ্গীতার সমস্ত শ্লোক, সরস্বতী বন্দনা এবং ছবি দেখে পশুদের নাম বলে সকলকে তাক লাগিয়েছে আলিপুরদুয়ারের ‘বিস্ময় বালিকা’ সাত্বিকা বিষই। এই অসাধারণ প্রতিভার জন্য তাঁর নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে, যা পাড়া-প্রতিবেশী থেকে পরিবারের সকলের জন্য গর্বের মুহূর্ত। সাত্বিকার আদি বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের বুলানপুর গ্রামে, তবে বর্তমানে তাঁরা আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। বাবা বিশ্বজিৎ বিষই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে রেঞ্জ অফিসার এবং মা স্বাগতা বিষই একজন শিক্ষিকা। দুজনেই কর্মরত থাকায় সাত্বিকা দিনের বেশিরভাগ সময় কাটায় দিদিমার সঙ্গে। তবে তাঁর প্রিয় সঙ্গী পোষা কুকুর হ্যারি, যাকে সে ‘দাদা’ বলে ডাকে।

সাত্বিকার এই কৃতিত্বের পিছনে রয়েছে পরিবারের সহযোগিতা এবং তাঁর স্বাভাবিক প্রতিভা। মা স্বাগতা বিষই গর্বের সঙ্গে বলেন, “আমাদের মেয়ের এই প্রতিভা দেখে আমরা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে আবেদন করি। সংস্থা ভিডিও চেয়েছিল, এবং কিছু প্রক্রিয়ার পর সাত্বিকার নাম রেকর্ড বুকে উঠে। আমরা চাই, সে বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হোক, অন্যের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে শিখুক।” সাত্বিকার এই অর্জন শুধু একটি শিশুর কৃতিত্ব নয়, বরং শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসার প্রতিফলন। তাঁর প্রতিভা দেখে স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ দাস বলেন, “এত ছোট বয়সে এমন কাজ অবিশ্বাস্য। সাত্বিকা আমাদের গর্ব।” সাত্বিকার এই পথচলা অন্য শিশুদের জন্যও অনুপ্রেরণা। তবে, এই অসাধারণ কৃতিত্ব সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন বা অন্য কোনো সংস্থা থেকে এখনও বিশেষ স্বীকৃতি পায়নি এই খুদে প্রতিভা। ভবিষ্যতে সাত্বিকার মতো শিশুদের উৎসাহিত করতে প্রশাসনের পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *