এই দুই দেশ বিদেশী পণ্যকে একেবারে ‘না’ বলে দিয়েছে! কারণ জানলে চমকে যাবেন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বানের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে এমন দুটি দেশ আছে যারা যুগ যুগ ধরে বিদেশী পণ্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রী ব্যবহার করে আসছে। উত্তর কোরিয়া এবং কিউবা, এই দুটি দেশ কঠোর সরকারি নীতি এবং সীমিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনীতিকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। বিদেশী প্রভাব থেকে নিজেদের সংস্কৃতি ও অর্থনীতিকে রক্ষা করতে এই দেশগুলো নিজস্ব উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
উত্তর কোরিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে ‘বন্ধ’ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে বিদেশী পণ্যের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, এবং যানবাহন— সবকিছুই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। দেশটির অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে সরকার-নিয়ন্ত্রিত; এখানে কোনো বেসরকারি কো ম্পা নি বা দোকান নেই। পোশাক, জুতা, সাইকেল, গৃহস্থালীর সামগ্রী, ওষুধ এবং খাদ্যদ্রব্য সবই সরকারি কারখানায় তৈরি হয় এবং রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের কাছে বিতরণ করা হয়। ‘আত্মনির্ভরতা’ এই দেশের জীবনযাত্রার মূল মন্ত্র, যেখানে ছোটবেলা থেকেই নাগরিকদের শেখানো হয় যে বিদেশী জিনিস খারাপ।
কিউবার পরিস্থিতি উত্তর কোরিয়ার মতো অতটা কঠোর না হলেও, বিদেশী পণ্যের ব্যবহার এখানেও অত্যন্ত সীমিত। ১৯৫৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে দেশটিতে একটি রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু আছে, যার মাধ্যমে নাগরিকদের মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়। কিউবার নিজস্ব পোশাক, জুতা, আসবাবপত্র, সিগার, রাম এবং বিশেষ করে ওষুধ শিল্প বিশ্বজুড়ে পরিচিত। সরকার নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোট আকারের বেসরকারি ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিউবার মানুষ পুরোনো জিনিসপত্র মেরামত করে এবং দেশীয় উদ্ভাবনের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে এক সরল জীবনযাপন করে।