আলাস্কার সোনার ভাণ্ডার রাশিয়া ছেড়েছিল কেন? জানলে চমকে যাবেন!

আজকের আলাস্কা একটি সম্পদের খনি, যেখানে সোনা, তেল ও প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার রয়েছে। কিন্তু একসময় এই বিশাল ভূখণ্ডটি ছিল রাশিয়ার অধীনে। ১৮৬৭ সালে রাশিয়া এই অঞ্চলটি মাত্র ৭.২ মিলিয়ন ডলারে, অর্থাৎ প্রতি একরে ২ সেন্ট দামে, আমেরিকার কাছে বিক্রি করে দেয়। তখন এই সিদ্ধান্তকে অনেকে ‘অর্থনৈতিক ভুল’ হিসেবে দেখলেও, রাশিয়ার সে সময়ের পরিস্থিতি এই বিক্রির পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু কেন রাশিয়া এমন একটি সম্পদশালী অঞ্চল হাতছাড়া করল?
১৭৪১ সালে রাশিয়া আলাস্কাকে নিজেদের অধীনে নিয়ে আসে, এবং রাশিয়া-আমেরিকা কো ম্পা নির মাধ্যমে সেখানে বাণিজ্য শুরু করে। কিন্তু ক্রাইমিয়ান যুদ্ধের (১৮৫৩-১৮৫৬) পর রাশিয়া অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে। বাণিজ্যে ক্ষতি এবং ব্রিটিশ উপনিবেশের হুমকির মুখে রাশিয়া বুঝতে পারে, তারা আলাস্কা ধরে রাখতে পারবে না। ব্রিটেনের হাতে হারানোর ভয়ে রাশিয়া আমেরিকার কাছে এই ভূখণ্ড বিক্রি করে দেয়, যারা তখন গৃহযুদ্ধে জর্জরিত হলেও এই সুযোগ গ্রহণ করে।
আলাস্কা কেনার পর আমেরিকা এই অঞ্চল থেকে অপ্রত্যাশিত লাভ পায়। ১৮৯০-এর দশকে সোনার খনি এবং পরবর্তীতে তেলের খনি আবিষ্কারের ফলে আমেরিকা বিনিয়োগের তুলনায় কয়েকশো গুণ লাভ করে। এই সম্পদ আজ আলাস্কাকে আমেরিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল করে তুলেছে। অন্যদিকে, রাশিয়া এখনও সেই সিদ্ধান্তের জন্য আক্ষেপ করে, কারণ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তারা একটি ‘সোনার খনি’ হারিয়েছিল।