বিজ্ঞানের অলৌকিক সৃষ্টি: ট্রান্সপারেন্ট ব্যাঙ থেকে সুপার গরু

বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানবজাতির জন্য নতুন দিগন্ত খুলেছে, তবে এই অগ্রগতি সবসময় পরিকল্পিত ফল দেয় না। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জনসংখ্যার চাপে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা হাইব্রিড প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের প্রাণীও তৈরি হয়েছে, যা মানুষের জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করছে।
ট্রান্সপারেন্ট ব্যাঙ ও গোল্ডফিশ বিজ্ঞানের এমনই বিস্ময়। জাপানের একটি ল্যাবে তৈরি এই প্রাণীদের শরীর স্বচ্ছ, যার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অঙ্গ স্পষ্ট দেখা যায়। “মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বিপ্লব,” বলেন জাজল বিজ্ঞানী ড. হিরোশি ইয়ামাশিতা। এদিকে, ফার্মাসিউটিক্যাল উটের সৃষ্টি খাদ্য ও ওষুধ শিল্পে নতুন সম্ভাবনা এনেছে। এই উট সাধারণ উটের তুলনায় দশগুণ বেশি দুধ উৎপাদন করে এবং চরম তাপেও টিকে থাকে। “এই উট ডায়রি শিল্পের জন্য একটি বর,” বলেন দুবাইয়ের এক ডায়রি বিশেষজ্ঞ।
কিন্তু সব সৃষ্টি নিরাপদ নয়। দক্ষিণ আমেরিকার কিলার মৌমাছি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মধু উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ভুলবশত এই বিষাক্ত মৌমাছি তৈরি করেন, যারা তাদের মধু রক্ষায় প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। একইভাবে, সুপার গরু দুধ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটালেও এর বিশাল আকার ও রক্ষণাবেক্ষণের জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি মানুষের স্বার্থে কাজ করলেও, এর নৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে আলোচনা জরুরি।