‘যৌবনের চাবিকাঠি এক মাস পুরনো প্রস্রাবে!’—ব্রিটিশ যুবকের অদ্ভুত দাবি

নিজের এক মাস পুরনো মূত্র পান এবং তা দিয়ে মুখে ফেসিয়াল, এটিই নাকি ৩৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক হ্যারি মাতাদিনের যৌবন ধরে রাখার গোপন রহস্য। হ্যাম্পশায়ারের এই বাসিন্দা ২০১৬ সাল থেকে নিজের বর্জ্য পান করছেন এবং তার দাবি, এটি শুধুমাত্র তার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়নি, বরং তার মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রেখেছে। হ্যারি প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিলিটার প্রস্রাব পান করেন এবং তার বিশ্বাস, এটি তাকে জীবনে শান্তি ও সংকল্পের এক নতুন অনুভূতি এনে দিয়েছে, পাশাপাশি ছোটখাটো রোগ থেকেও তাকে দূরে রাখে।

হ্যারি মাতাদিন আরও দাবি করেন যে মাঝে মাঝে মুখে মূত্র ছিটিয়ে দিলে তা ‘অনন্ত যৌবনের রহস্য’ হিসেবে কাজ করে। এই বিষয়ে তিনি একটি বইও লিখেছেন, যেখানে তিনি প্রস্রাবের মাধ্যমে অটোইমিউন ডিসঅর্ডার থেকে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যার নিরাময় সম্ভব বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও চিকিৎসার দৃষ্টিকোণ থেকে এই দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে ইউরোফ্যাজিয়ার (মূত্র পান) কোনো উপকারিতার প্রমাণ নেই এবং এটি প্রাচীন মিশরীয় অভ্যাস হলেও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এটিকে সমর্থন করে না।

চিকিৎসকদের মতে, মূত্র পানের ফলে বরং বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। ক্ষতিকর রেচন পদার্থ এবং ব্যাকটেরিয়া পুনরায় শরীরে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে। সাধারণ বুদ্ধি থেকেই এর ক্ষতিকর দিকটি বোঝা যায়। তবে তথাকথিত ‘উন্নত’ পশ্চিমা সমাজে এই অভ্যাসের একটি অদ্ভুত অনুসরণ দেখা যায়, এমনকি বিশ্বখ্যাত পপ তারকা ম্যাডোনা এবং কেশার মতো তারকারাও প্রকাশ্যে নিজেদের প্রস্রাব পানের কথা স্বীকার করেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *