ভারতের বর্তমান ৭৮০টি জেলার মধ্যে বিহারের পূর্ণিয়া একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। ১৭৭০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কো ম্পা নি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই জেলাটি ছিল ভারতের প্রথম জেলা। একসময় এটি ঘন জঙ্গলে আবৃত ছিল এবং ডাকাত ও দুষ্কৃতকারীদের আস্তানা হিসেবে কুখ্যাত ছিল। ব্রিটিশরা পূর্ণিয়া জয় করার পর অপরাধ দমনে অভিযান শুরু করলেও, স্থানীয়রা গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করতে সাহস পেত না। ‘পূর্ণা-অরণ্য’ থেকে ‘পূর্ণিয়া’ নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়, যার অর্থ ‘সম্পূর্ণ জঙ্গল’।

স্বাধীনতার পর পূর্ণিয়া তার অতীত পরিচয় ঝেড়ে ফেলে আধুনিকতার পথে এগিয়েছে। বর্তমানে এটি একটি স্মার্ট শহর হিসেবে পরিচিত, যেখানে স্কুল, কলেজ, পাবলিক পার্ক, হাসপাতাল, উন্নত রাস্তা এবং পর্যটকদের জন্য সংস্কার করা ঐতিহাসিক স্থান-সহ সমস্ত আধুনিক সুযোগসুবিধা বিদ্যমান। বিহারের ৩৮টি জেলার মধ্যে পূর্ণিয়া অন্যতম এবং এটি বিহারের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে। এই জেলার প্রশাসনিক কার্যালয় পূর্ণিয়া শহরেই অবস্থিত।

পূর্ণিয়ার একটি অনন্য ঐতিহ্য হলো, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে ঠিক রাত ১২টা ৭ মিনিটে এখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ১৯৪৭ সাল থেকে এই প্রথা আজও চলে আসছে। পূর্ণিয়ার এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং আধুনিক রূপান্তর ভারতের জেলাগুলির বিবর্তন ও উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।