১৭ জন চিকিৎসক ফেল, চ্যাটজিপিটি দুই মিনিটে বিরল রোগ শনাক্ত করে শিশুর প্রাণ বাঁচাল!

স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান ভূমিকার এক দারুণ উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার একটি ঘটনা। ১৭ জন চিকিৎসক যেখানে একটি চার বছরের শিশুর বিরল রোগ নির্ণয় করতে পারেননি, সেখানে চ্যাটজিপিটি মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে সেই কাজটি করে দেখিয়েছে। ঘটনাটি প্রমাণ করে দিয়েছে, এআই প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষত চিকিৎসাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। এই সাফল্যের পর শিশুটির পরিবার সঠিক চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হয়েছে এবং শিশুটি এখন সুস্থ হয়ে উঠছে।
মার্কিন সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গেছে, অ্যালেক্স নামের ওই শিশুটি তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থ ছিল। তার মা কোর্টনি ছেলের দাঁতে ব্যথা, বৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভারসাম্যহীনতার মতো অস্বাভাবিক লক্ষণগুলো লক্ষ্য করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় এই সমস্যাগুলি আরও প্রকট হয়। তিনি একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেও কেউই অ্যালেক্সের রোগ নির্ণয় করতে পারেননি। অবশেষে, হতাশ হয়ে কোর্টনি চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
অসহায় কোর্টনি অ্যালেক্সের এমআরআই নোট এবং সমস্ত উপসর্গ একে একে চ্যাটজিপিটিতে আপলোড করেন। অবাক করা বিষয় হলো, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এআই টুলটি ‘টেদার্ড কর্ড সিন্ড্রোম’ নামে একটি বিরল স্নায়বিক রোগের কথা জানায়, যা মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে। এআই-এর সুপারিশ অনুসরণ করে কোর্টনি একই ধরনের উপসর্গযুক্ত শিশুদের অভিভাবকদের একটি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দেন। এরপর তিনি একজন নতুন নিউরোসার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যিনি চ্যাটজিপিটি-র নির্ণয়কে নিশ্চিত করেন এবং শিশুটির মেরুদণ্ডে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসার পর অ্যালেক্স এখন পুরোপুরি সুস্থ।