এই ৩টি ভুল করলেই নিমেষে ফাঁকা হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! সতর্ক হোন আজই

স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা আর্থিক লেনদেনকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। ইউপিআই, নেট ব্যাঙ্কিং, এবং মোবাইল ওয়ালেটের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে অনলাইন জালিয়াতির ঝুঁকিও আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যক্তিগত তথ্য এবং কষ্টার্জিত অর্থ সুরক্ষিত রাখতে অনলাইন লেনদেনে কিছু নির্দিষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা অপরিহার্য। আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ থেকে বাঁচতে ব্যবহারকারীদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মেনে চললে অনলাইন লেনদেন অনেকটাই নিরাপদ রাখা সম্ভব, যা আপনার ডিজিটাল জীবনকে সুরক্ষিত রাখবে।
অনলাইন লেনদেনে সুরক্ষার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন। প্রথমত, সমস্ত আর্থিক অ্যাকাউন্টের জন্য সবল এবং স্বতন্ত্র পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত তা পরিবর্তন করুন। নিজের নাম, জন্মতারিখ, বা পরিবারের সদস্যদের নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন। দ্বিতীয়ত, যেখানে সম্ভব, সেখানে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সক্রিয় করুন, যা পাসওয়ার্ড ছাড়াও ওটিপি বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও, ব্যাঙ্ক অ্যালার্ট পরিষেবা চালু রাখুন যাতে প্রতিটি লেনদেনের খবর আপনি সঙ্গে সঙ্গে পেতে পারেন এবং নিয়মিত আপনার অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট পরীক্ষা করুন কোনো অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে কিনা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, অনলাইনে টাকা লেনদেন করার আগে তিনটি বিষয় যাচাই করা। প্রথমত, কোনো সন্দেহজনক লিঙ্ক বা ইমেল থেকে দূরে থাকুন। অজানা উৎস থেকে আসা ইমেল, এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না এবং লোভনীয় অফার বা পুরস্কারের বিজ্ঞাপনে সাড়া দেওয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই করুন। দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র HTTPS যুক্ত ইউআরএল এবং তালার চিহ্ন দেওয়া নিরাপদ ওয়েবসাইট থেকে লেনদেন করুন এবং নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিয়মিত আপডেট করুন। তৃতীয়ত, পাবলিক বা অসুরক্ষিত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে আর্থিক লেনদেন এড়িয়ে চলুন; একান্ত প্রয়োজনে ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। প্রযুক্তিগত সুরক্ষার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতাই অনলাইন আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।