জগতে একমাত্র মন্দির, যেখানে ভক্তরা ‘মৃত্যু’ চান! পুজোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পান ফল

আমরা সবসময় মন্দিরে নিজেদের এবং পরিবারের মঙ্গল, সুস্থ জীবন কামনা করি। সেজন্য দেবতাকে নারকেল ও প্রসাদ নিবেদন করি। ভালো স্বাস্থ্য ও ধনসম্পদের জন্য দেবতার কাছে মানত করি।
তবে পৃথিবীতে এমন একটি মন্দির আছে, যেখানে মৃত্যুর আশীর্বাদ চাওয়া হয়। এর জন্য সেই ব্যক্তির নামে প্রদীপ জ্বালানো হয়। এমন বিশ্বাস আছে যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই ব্যক্তি এই মোহময়ী দুনিয়া থেকে মুক্তি পেয়ে মোক্ষ লাভ করেন।
এই অনন্য মন্দিরটি শিপ্রা নদীর রাম ঘাটে অবস্থিত। এর নাম ধর্মরাজ এবং চিত্রগুপ্ত মন্দির। কারণ, ধর্মরাজ এবং চিত্রগুপ্ত এই দুই দেবতা এখানে আছেন। এই মন্দিরটি খুবই বিখ্যাত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় শত শত ভক্ত এখানে দর্শনের জন্য আসেন। পণ্ডিত রাকেশ যোশী বলেছেন, মানুষের প্রায়শই শারীরিক অসুস্থতার কারণে জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে সংগ্রাম চলতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, এই ধরনের ব্যক্তিদের মানব জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পেতে এবং মোক্ষ লাভের জন্য ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে এই মন্দিরে পূজা করতে আসেন। বিশেষ করে পূজার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এর ফল দেখা যায়।
প্রদীপ জ্বালালে দেবতারা প্রসন্ন হন!
মন্দিরে পূজা করে অনেকেই স্বাস্থ্যের উপকারিতা পেয়েছেন। এছাড়া, ঘিয়ের প্রদীপ দেবতা ধর্মরাজ এবং চিত্রগুপ্তকে প্রসন্ন করে। এখানে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা আছে। যে ব্যক্তির শারীরিক যন্ত্রণা হচ্ছে এবং তিনি সুস্থ হতে চান বা মোক্ষ লাভ করতে চান, তিনি এখানে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। এতে তাঁর সমস্ত যন্ত্রণা দূর হয় এবং মোক্ষ লাভ হয়। পণ্ডিত রাকেশ যোশী বলেছেন, প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত এখানে আসেন।
প্রাচীন মন্দির
কর্কটক্রান্তি রেখা এই মন্দিরের ওপর দিয়ে গেছে, তাই এই মন্দিরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যোশীর পূর্বপুরুষরা গত ৪০০ বছর ধরে মন্দিরে পূজা করছেন। ১৭০২ সালেও এখানে পূজা করার প্রমাণ আছে। পণ্ডিত যোশী আরও বলেছেন, সারা দেশ থেকে ভক্তরা রোগ এবং বিভিন্ন দোষ থেকে মুক্তি পেতে এখানে আসেন।