এই মুসলিম দেশের রাজা ঈদ কোরবানির বিরুদ্ধে, কারণ জানলে চমকে যাবেন!

ঈদ-উল-আযহা, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত একটি উৎসব। ২০২৫ সালের ৭ জুন এই উৎসব উদযাপিত হবে। তবে এবার এক ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে মুসলিম বিশ্বে। মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ তার দেশের নাগরিকদের কাছে এক বড় আবেদন জানিয়েছেন।

বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ তার প্রজাদের বলেছেন, এই বছর ঈদ-উল-আযহায় যেন তারা কুরবানি না দেন। সাধারণত ঈদের সকালে বিশেষ নামাজ আদায়ের পর পশু কুরবানি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।

মরক্কোতে ভেড়াসহ অন্যান্য পশুর কুরবানি দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের খরার কারণে সেখানে পশুর সংখ্যা কমে গেছে। খাদ্যের অভাবে অনেক পশু মারাও গেছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ তার দেশের মানুষের কাছে কুরবানি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।

ইসলাম ধর্মে পয়গম্বর ইব্রাহিমের ত্যাগের স্মরণে এই উৎসব পালিত হয়। আল্লাহ্‌র আদেশে ইব্রাহিম তার পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় ইসমাইলের পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানি হয়েছিল। কুরবানির মাংস দরিদ্র ও অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ মনে করেন, এই কঠিন সময়ে কুরবানি করলে যাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এছাড়া বহু পশু এরই মধ্যে ক্ষতির শিকার হয়েছে এবং মারাও গেছে।

বাদশাহর এই সিদ্ধান্তে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ষষ্ঠ মোহাম্মদ জনগণের হতাশা দূর করতে একটি ফরমান জারি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জনগণের পক্ষ থেকে তিনি নিজেই ঈদ-উল-আযহার দিনে কুরবানি দেবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *