ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে, যারা মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এখানকার প্রতিটি গ্রামের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আজকাল গ্রামীণ সংস্কৃতি দেখার প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে। পর্যটকরা প্রায়শই ভারতের এমন সব গ্রামের খোঁজ করেন, যা অনন্য এবং বিশেষ। সরকারও গ্রাম পর্যটনকে ক্রমাগত উৎসাহিত করছে, যাতে মানুষ এখানকার খাবার, পোশাক, ভাষা ইত্যাদি সরাসরি দেখতে ও জানতে পারে।

এর আগে আমরা ভারতের বিভিন্ন গ্রাম সম্পর্কে জানিয়েছি, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। আজ আমরা আপনাদের এমন একটি গ্রামের কথা বলব, যেখানে সূর্যের প্রথম আলো পড়ে।

এখানেই হয় প্রথম সকাল

সাধারণত সবারই জানা আছে যে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভারতের পূর্বাঞ্চলে সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে এবং পশ্চিমে সবচেয়ে শেষে সূর্য দেখা যায়। তেমনি, পূর্বাঞ্চলে সূর্য সবার আগে অস্ত যায়, যার মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের নাম আসে। একে ‘উদীয়মান সূর্যের ভূমি’ও বলা হয়, কারণ এখানেই সূর্যের প্রথম আলো দেখা যায়।

ডং গ্রাম

তবে, অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে সূর্যের প্রথম আলো পড়ে। যখন আপনি আপনার বাড়িতে গভীর ঘুমে মগ্ন থাকেন, তখন সেখানে দিন শুরু হয়ে যায়। গ্রামটির নাম ডং। এর আশেপাশে অবস্থিত গ্রাম এবং শহরগুলিতে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময়ে সামান্য পার্থক্য থাকলেও, অরুণাচল প্রদেশের এই গ্রামেই সবার আগে সূর্যোদয় হয় এবং সূর্যাস্তও সবার আগে এই গ্রামেই হয়। এখানে সূর্যোদয়ের সময় সকাল ৩টা থেকে ৪টের মধ্যে। আর সন্ধ্যা ৪টা নাগাদ এখানে অন্ধকারও নেমে আসে।

মন মুগ্ধ করা দৃশ্য

এই কারণেই ডং গ্রামে পর্যটকদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। মানুষ অরুণাচল প্রদেশের এই গ্রামে বিশেষ করে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে আসেন। এখানকার শান্ত পরিবেশ এবং গ্রামীণ পরিমণ্ডল মানুষের মনকে মুগ্ধ করে তোলে। গত কয়েক বছর ধরে নতুন বছরের সময় এখানে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবাই এই দৃশ্য দেখতে এবং অনুভব করতে এখানে আসেন। তাই রাজ্য সরকার এখানে মানুষকে আরও ভালো সুবিধা দেওয়ার জন্য উন্নয়নের গতিতে মনোযোগ দিচ্ছে।