রহস্যময় ফুলের উপত্যকা রামায়ণ মহাভারতেও উল্লেখ! কীভাবে হল এই ‘স্বর্গের’ খোঁজ?

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জোশীমঠে অবস্থিত ‘ফুলের উপত্যকা’ এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের আধার, যা প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটককে আকর্ষণ করে। গোবিন্দ ঘাট থেকে ১৬ কিলোমিটার হেঁটে এই উপত্যকায় পৌঁছাতে হয়, যেখানে শত শত প্রজাতির ফুল মুগ্ধ করে রাখে। এর পৌরাণিক তাৎপর্যও কম নয়; রামায়ণ ও মহাভারত উভয় গ্রন্থেই এর উল্লেখ আছে বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, হনুমান সঞ্জীবনী বুটি আনতে এই উপত্যকাতেই এসেছিলেন, যা লক্ষ্মণের জীবন বাঁচিয়েছিল। স্থানীয়রা এটিকে পরী ও দেবতাদের আবাসস্থল হিসেবে বিশ্বাস করে।
এই উপত্যকাটি নंदा দেবী বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের অংশ। ১৯৩১ সালে তিন ব্রিটিশ পর্বতারোহী ফ্রাঙ্ক এস স্মিথ, এরিক শিপটন এবং আরএল হোল্ডসওয়ার্থ পথ হারিয়ে এর সন্ধান পান এবং এর নামকরণ করেন ‘ফুলের উপত্যকা’। এরপর স্মিথ ‘ফুলের উপত্যকা’ নামে একটি বইও লেখেন। ১৯৮৮ সালে নंदा দেবী বায়োস্ফিয়ার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ধীরে ধীরে পর্যটকদের জন্য এটি আবার খুলে দেওয়া হয়। এখানে আসতে নিকটতম বিমানবন্দর হলো দেরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর এবং নিকটতম রেলস্টেশন হলো ঋষিকেশ।