গণহত্যার সেই কালো অধ্যায়: ১ লক্ষ নিরীহ হিন্দুকে নিমেষে নিকেশ করেছিল তৈমুর লঙ!

তৈমুর লঙ – এক এমন নাম যা ভারতের ইতিহাসে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এক আতঙ্কের কারণ হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে ১৪শ শতাব্দীতে দিল্লি এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে শিশুদের ভয় দেখানোর জন্য তৈমুরের নাম ব্যবহার করা হতো। তৈমুরের দিল্লি আক্রমণের ইতিহাস এই শহরের সবচেয়ে অন্ধকারময় অধ্যায়গুলির মধ্যে একটি। বামপন্থী ঐতিহাসিকরা তৈমুরকে ‘সাহসী’ হিসেবে মহিমান্বিত করলেও, তার নৃশংসতা এবং ভারতীয়দের উপর চালানো অত্যাচার প্রায়শই চাপা পড়ে যায়। কীভাবে তৈমুর লঙ দিল্লিতে লাশের স্তূপ তৈরি করেছিল এবং ভেড়া-বকরির মতো মানুষের রক্ত ঝরিয়েছিল, সেই আসল ইতিহাস আজ আমরা আলোচনা করব।
তৈমুরের প্রকৃত পরিচয় এবং তার নৃশংস আক্রমণের বিবরণ মানুষের কাছে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি, যাতে আজকের দিনে কেউ তার নামে নিজেদের সন্তানদের নামকরণ না করেন বা তার গুণগান না করেন। তৈমুর ছিল একজন তুর্কি-মঙ্গোল আক্রমণকারী, যে তৈমুরি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই সাম্রাজ্য আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য ছিল তৈমুরেরই বংশধর। যদিও তৈমুরকে শিল্প ও স্থাপত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তুলে ধরা হয়, কিন্তু এর আড়ালে তার আসল নিষ্ঠুরতা প্রায়শই লুকিয়ে রাখা হয়।