মহাযুদ্ধের কুটিল চালের নেপথ্যে শকুনি, কে ছিল তার স্ত্রী ও সন্তান?

মহাভারতের অন্যতম প্রধান চরিত্র শকুনি, যিনি সম্পর্কে গান্ধারীর ভাই এবং দুর্যোধনের মামা ছিলেন। গান্ধারীর বিয়ের পর থেকেই তিনি হস্তিনাপুরে এসে বসবাস শুরু করেন। এরপর থেকেই তিনি দুর্যোধনকে পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে নানা রকম কুটিল চাল চালার জন্য উসকানি দিতে থাকেন। পাশা খেলায় প্রতারণা করে পাণ্ডবদের হারানো থেকে শুরু করে লাখের ঘরে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা—এই সব কিছুর নেপথ্যে ছিল শকুনির হাত।
কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে শকুনির নিজস্ব রাজ্য এবং পরিবার ছিল, যা ছেড়ে তিনি হস্তিনাপুরে থাকতেন। কথিত আছে, তিনি নিজের ভগ্নীপতি ধৃতরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই এই সব কিছু করেছিলেন। তিনি ভালোভাবেই জানতেন যে কৌরবরা কখনো পাণ্ডবদের হারাতে পারবে না। তাই তিনি কৌরবদের পাণ্ডবদের সঙ্গে যুদ্ধে নামিয়েছিলেন এবং কৌরবদের পরাজয়ের মাধ্যমে নিজের প্রতিশোধ সম্পূর্ণ করেন।
কৌরবদের সর্বনাশের নেপথ্য নায়ক শকুনি
মহাভারতের অন্যতম প্রধান চরিত্র শকুনি। গান্ধারীর ভাই ও দুর্যোধনের মামা শকুনি নিজের রাজ্য ও পরিবার ছেড়ে হস্তিনাপুরে এসে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী আরশী এবং তিন পুত্র ছিল: উলুক, বৃকাসুর ও বিপ্রচিত্তি। আরশী তার সন্তানদের নিয়ে গান্ধারেই থাকতেন এবং সেখান থেকেই রাজ্যের দেখভাল করতেন। নিজের ভগ্নীপতি ধৃতরাষ্ট্রের ওপর প্রতিশোধ নিতেই শকুনি দুর্যোধনকে পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে কুপরামর্শ দিতেন, যার ফলে কুরুক্ষেত্রের ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
শকুনি জানতেন যে কৌরবরা কখনোই পাণ্ডবদের হারাতে পারবে না। তবুও তিনি কৌরবদের দিয়ে পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করান, যাতে কৌরবদের পরাজয়ের মাধ্যমে তার প্রতিশোধ পূরণ হয়। মহাভারতের যুদ্ধে শকুনির তিন পুত্রের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। যুদ্ধের ১৮তম দিনে পাণ্ডুপুত্র নকুল শকুনিকে বধ করেন।