কলিযুগের শেষ কবে? বিষ্ণু পুরাণে লুকিয়ে আছে এই ৬টি বড় ইঙ্গিত, যা আজ সত্যি হতে দেখা যাচ্ছে

বিষ্ণু পুরাণ ভবিষ্যদ্বাণী: হাজার হাজার বছর আগে, আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ এবং পুরাণগুলিতে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক কথা লেখা হয়েছিল।
এগুলিতে চারটি যুগের বর্ণনা পাওয়া যায় – সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলিযুগ। কলিযুগকে এই সবগুলির মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং নৈতিক পতন-এর যুগ বলে মনে করা হয়েছে। বিষ্ণু পুরাণ এবং শ্রীমদ্ভগবতের মতো গ্রন্থগুলিতে বলা হয়েছে যে, যখন কলিযুগ তার চরমে পৌঁছাবে, তখন পৃথিবীতে কেমন পরিস্থিতি হবে।
এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি পড়ে মনে হয়, যেন তারা আজকের বিশ্বেরই প্রতিচ্ছবি দেখাচ্ছে।
যখন মানবতা তার পরিচয় হারাবে
শাস্ত্র অনুসারে, কলিযুগে মানুষের সম্পর্ক ঠুনকো হয়ে যাবে। স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা এবং সন্তানের সম্পর্ক কেবল স্বার্থ এবং ধনের উপর টিকে থাকবে। মানুষের মন থেকে সম্মান এবং ভালোবাসার অনুভূতি শেষ হয়ে যাবে এবং ধনই সবচেয়ে বড় ধর্ম হয়ে উঠবে। যার কাছে অর্থ থাকবে, তাকেই জ্ঞানী এবং সম্মানের যোগ্য মনে করা হবে, তার কর্ম যেমনই হোক না কেন।
প্রকৃতির প্রকোপ এবং দেহের ক্ষয়
আরেকটি ভীতিকর ভবিষ্যদ্বাণী হলো যে, কলিযুগের শেষে মানুষের শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। মানুষের গড় আয়ু কমে মাত্র ২০ থেকে ৩০ বছর হয়ে যাবে। অল্প বয়সেই মানুষের চুল সাদা হতে শুরু করবে এবং শরীর বৃদ্ধ দেখাবে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণীগুলির মধ্যে একটি হলো যে, প্রকৃতির নিয়ম উল্টে যাবে। এও বলা হয়েছে যে, মেয়েরা খুব অল্প বয়সে, অর্থাৎ ৫ থেকে ৭ বছর বয়সেই গর্ভধারণ করতে শুরু করবে। পৃথিবীতে খরা এবং দুর্ভিক্ষের ছায়া নেমে আসবে, নদী শুকিয়ে যাবে এবং মানুষ এক-এক দানা অন্নের জন্য হাহাকার করবে।
কবে হবে এই যুগের শেষ?
পুরাণ অনুসারে, যখন পাপ এবং অধর্ম তার চরমে পৌঁছাবে, তখন ভগবান বিষ্ণু ‘কল্কি’ রূপে অবতার নেবেন। তিনি অধর্মের বিনাশ করে পৃথিবীতে আবার ধর্ম এবং সত্যযুগ প্রতিষ্ঠা করবেন। এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি আমাদের কোনো তারিখ সম্পর্কে জানায় না, বরং একটি সতর্কবার্তা দেয় যে, যখন সমাজ তার নৈতিক মূল্যবোধ হারায়, তখন তার পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।