হিমালয়ের রহস্যময় ৭ ঋষি – যারা শিবের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন!

হিমালয়ের রহস্যময় ৭ ঋষি – যারা শিবের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন!

হিমালয়ের উঁচু পাহাড়ে অনেক গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে। জ্ঞানগঞ্জ মঠ হিমালয়ের একটি ছোট জায়গা, যা শাংরি-লা (Shangri-La), শম্ভলা (Shambhala) এবং সিদ্ধাশ্রম (Siddhashram) নামেও পরিচিত। বলা হয়, এখান থেকেই সবার ভাগ্য নির্ধারিত হয়।

এও বলা হয় যে, এখানে অমরত্বের রহস্য লুকিয়ে আছে। হিমালয়ে এর সঠিক অবস্থান কারো জানা নেই।

এটি শুধু ভারতেই নয়, তিব্বতেও বিখ্যাত। এটি এমন একটি জায়গা যা শুধুমাত্র সিদ্ধ পুরুষরাই সহজে খুঁজে পান। সাধারণ মানুষ এখানে যেতে পারে না। জ্ঞানগঞ্জে কোনো মৃত্যু হয় না। এখানে বসবাসকারী সন্ন্যাসীদের বয়স থেমে যায়।

বলা হয়, জ্ঞানগঞ্জে ৭ জন এমন ঋষি আছেন যাদের মহাদেবের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। তাদের বয়স ৫০০ বছরেরও বেশি। এই মঠে সময়কে থামিয়ে রাখা মহাত্মারা তপস্যায় লীন থাকেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এটি স্যাটেলাইটেও দেখা যায় না। এই জায়গাটি কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা সংস্কৃতির নয়।

এটি পূর্ব বা পশ্চিমের সাথেও সম্পর্কিত নয়। লেখক জেমস হিলটনের (James Hilton) বই ‘Lost Horizon, about the lost kingdom of Shangri-La’-তে এই জায়গার উল্লেখ আছে। বাল্মীকি রামায়ণ এবং মহাভারতেও জ্ঞানগঞ্জের প্রসঙ্গ আসে। এগুলোতে এটিকে সিদ্ধাশ্রম বলা হয়েছে। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন যে, ভগবান বুদ্ধ তার শেষ দিনগুলোতে কালচক্র (Kalachakra) সম্পর্কে জেনেছিলেন।

তিনি যাদের এই জ্ঞান দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন রাজা সুচন্দ্র। তিনি এই জ্ঞান নিয়ে যখন তার রাজ্যে ফিরে আসেন, তখন থেকেই তিব্বতে সেই স্থানকে শম্ভলা বলা হতে লাগল। এর অর্থ হলো ‘আনন্দের উৎস’। বলা হয় যে, এই জায়গাটি আধ্যাত্মিক শক্তির কেন্দ্র। বৌদ্ধরা কোনো না কোনোভাবে এখানে পৌঁছে যান, তবে সবার কাছে এখানকার পথ স্পষ্ট বোঝা যায় না।

এই জায়গাটি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, আধুনিক প্রযুক্তির ম্যাপিং সিস্টেমও এটিকে খুঁজে বের করতে সক্ষম নয়। জ্ঞানগঞ্জ মঠ হিমালয়ে তিব্বতের পশ্চিম অঞ্চল থেকে ১৬ কিমি দূরে অবস্থিত। এই প্রাচীন আশ্রমটি স্বামী জ্ঞানানন্দ পরমহংস ১২২৫ খ্রিস্টাব্দে সংস্কার করেছিলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *