বেন সিয়ার্সের আগুনে বোলিং, পাকিস্তানের সিরিজ স্বপ্ন ভঙ্গ!

বেন সিয়ার্সের আগুনে বোলিং, পাকিস্তানের সিরিজ স্বপ্ন ভঙ্গ!

নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দুর্দশা অব্যাহত। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৪ রানের হারের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে পড়েছে তারা। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের দাপটে পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে, আর এই ধ্বংসযজ্ঞের নায়ক ছিলেন ২৭ বছর বয়সী বেন সিয়ার্স। তৃতীয় ওডিআই-তে প্রথম উইকেট নিয়েই ৫ উইকেট শিকার করে তিনি পাকিস্তানের সব আশা মাটিতে মিশিয়ে দেন।

ম্যাচের চিত্র

নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯২ রান তোলে। মিচেল হে’র অপরাজিত ৯৯ ও মুহাম্মদ আব্বাসের ৪১ রানে ভর করে তারা এই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। জবাবে পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ২০৮ রানে গুটিয়ে যায়। প্রথম ওডিআই-তে নেপিয়ারে ৭৩ রানে হারের পর এই পরাজয় সিরিজ হাতছাড়া করেছে। পাকিস্তানি অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, “আমরা সুইং ব্যবহার করতে পারিনি। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা শৃঙ্খলা ও ধারাবাহিকতায় আমাদের ছাপিয়ে গেছে।”

বেন সিয়ার্সের দাপট

ম্যাচের নায়ক বেন সিয়ার্স। তিনি ৯.২ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। এটি তার ওডিআই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট এবং প্রথম ফাইফার। এর আগে দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও হ্যামিল্টনে তিনি পাকিস্তানের ‘নখর’ খুলে দেন। তার গতি ও বাউন্সে টপ অর্ডার ধরাশায়ী হয়। ক্রিকেট বিশ্লেষক জন মরিসন বলেন, “সিয়ার্সের বৈচিত্র্য ও নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের জন্য অতিক্রমণীয় ছিল না।”

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা

পাকিস্তানের পরাজয়ের মূল কারণ টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। বাবর আজম (৮), ইমাম-উল-হক (৪), আবদুল্লাহ শফিক (৫), রিজওয়ান (৬) ও সালমান আগা (৯)—পাঁচ ব্যাটসম্যান মিলে মাত্র ৩২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ১২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে দল চাপে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এশিয়ার ধীরগতির পিচে অভ্যস্ত এই ব্যাটসম্যানরা নিউজিল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটে অস্বস্তিতে।

ফাহিম-নাসিমের প্রতিরোধ

লোয়ার অর্ডারে ফাহিম আশরাফ (৭৩) ও নাসিম শাহ (৫১) হাফসেঞ্চুরি করে দলকে লজ্জা থেকে বাঁচান। নবম উইকেটে তাদের ৬০ রানের জুটি হারের ব্যবধান কমায়। নাসিম, হারিস রউফের কনকাশন বদলি হিসেবে এসে, ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় দর্শকদের মুগ্ধ করেন। তবে, এই প্রতিরোধ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। রিজওয়ান বলেন, “ফাহিম ও নাসিম দারুণ লড়েছে, কিন্তু শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *