খেলাধুলার জগৎ শুধু প্রতিভা ও আবেগের ক্ষেত্র নয়, এটি একটি বিশাল অর্থনৈতিক মঞ্চও, যেখানে তারকা খেলোয়াড়রা তাদের অর্জন এবং ব্র্যান্ড মূল্যের জোরে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। ফোর্বস প্রতি বছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ আয় করা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় অনেক বড় নাম রেকর্ড ভাঙা আয়ের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন, তবে একজন দিগগজ এতটাই এগিয়ে যে দ্বিতীয় স্থানের খেলোয়াড় তার কাছাকাছিও নেই।
রোনাল্ডোর উপর অর্থের বৃষ্টি
পর্তুগালের কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ফোর্বসের তালিকায় পুনরায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। ২০২৪ সালের মে থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২,৩৫৬ কোটি টাকা) আয় করেছেন। এটি টানা তৃতীয় বছর তিনি এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন এবং পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সব খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলেছেন। ৪০ বছর বয়সী রোনাল্ডোর আয়ের সিংহভাগ আসে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-নাসরের সঙ্গে তার ২২৫ মিলিয়ন ডলারের বার্ষিক বেতন থেকে। এছাড়া, নাইকি, বিনান্স, এবং হার্বালাইফের মতো ব্র্যান্ড থেকে তার মাঠের বাইরের আয় ৫০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তার ৯৩৯ মিলিয়ন সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার এবং এন্ডোর্সমেন্ট চুক্তিগুলো এই বিপুল আয়ের বড় কারণ।

তালিকায় অন্য তারকারা
এনবিএ-র গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের তারকা স্টিফেন কারি এবার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন, ১৫৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১,৩৩৭ কোটি টাকা) আয়ের সঙ্গে, যা বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের জন্য নতুন রেকর্ড। ব্রিটিশ হেভিওয়েট বক্সার টাইসন ফিউরি ১৪৬ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১,২৫২ কোটি টাকা) আয় করে তৃতীয় স্থানে। এনএফএল-এর ডালাস কাউবয়েসের কোয়ার্টারব্যাক ডাক প্রেসকট ১৩৭ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১,১৭৪ কোটি টাকা) নিয়ে চতুর্থ। আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি ১৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১,১৫৭ কোটি টাকা) আয়ের সঙ্গে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন।

রোনাল্ডোর এই অসাধারণ আয় শুধু তার খেলোয়াড়ি দক্ষতাই নয়, তার বৈশ্বিক ব্র্যান্ড মূল্য এবং ব্যবসায়িক দূরদর্শিতাকেও তুলে ধরে। তিনি ফুটবলের মাঠে এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।