“শনির বিপরীত গতি: ৫ রাশির জন্য সম্পদের দ্বার খুলবে!”

“শনির বিপরীত গতি: ৫ রাশির জন্য সম্পদের দ্বার খুলবে!”

কর্মের অধিপতি শনি আগামী ১৩ জুলাই, ২০২৫ থেকে ১৩৮ দিনের জন্য প্রতিগামী (বিপরীতমুখী) হতে চলেছেন। জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী, এই সময়কাল ২৮ নভেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। শনির এই গতিপরিবর্তন সব রাশির ওপর প্রভাব ফেললেও পাঁচটি রাশির জন্য এটি সম্পদ ও সাফল্যের সুবাতাস বয়ে আনবে বলে মনে করছেন জ্যোতিষীরা। “শনি প্রতিগামী হলে কর্মফল ত্বরান্বিত হয়,” বলেন জ্যোতিষী পণ্ডিত রাজেশ শর্মা। কারা এই ভাগ্যবান? আসুন জানি।

শনির প্রতিগামীতা: কী ঘটবে?

১৩ জুলাই সকাল ৯:৩৬ থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৯:২০ পর্যন্ত শনি বিপরীত গতিতে থাকবেন। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই সময়কে গভীর পরিবর্তনের সূচক মানা হয়। “শনি প্রতিগামী হলে পুরনো কর্মের ফল দ্রুত ফিরে আসে—ভালো বা মন্দ,” জানান শর্মা। এই সময়ে পাঁচটি রাশি আর্থিকভাবে উন্নতি করবে বলে পূর্বাভাস।

ভাগ্যবান ৫ রাশি

জ্যোতিষীদের মতে, নিম্নলিখিত রাশিগুলো শনির এই প্রভাবে সমৃদ্ধি লাভ করবে:

  1. বৃষ রাশি
    বৃষ রাশির জাতকদের জন্য এটি সোনালি সময়। “বিনিয়োগ ও ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা বাড়বে,” বলেন জ্যোতিষী মীনাক্ষী দাস। চাকরিতে পদোন্নতি ও পুরনো ঋণ পরিশোধের সুযোগ আসতে পারে।
  2. মিথুন রাশি
    মিথুনের জন্য শনি অপ্রত্যাশিত আর্থিক উৎস খুলে দেবে। “প্রকল্পে সাফল্য ও নতুন আয়ের পথ তৈরি হবে,” জানান দাস। ব্যবসায় সম্প্রসারণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
  3. সিংহ রাশি
    সিংহ রাশির জাতকদের কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি মিলবে। “প্রতিগামী শনি এদের কঠোর পরিশ্রমের ফল দেবে,” বলেন শর্মা। সম্পত্তি বা বড় কেনাকাটার যোগ রয়েছে।
  4. তুলা রাশি
    তুলার জন্য আর্থিক স্থিতিশীলতা আসবে। “পুরনো বিনিয়োগ থেকে লাভ ও পারিবারিক সমর্থন বাড়বে,” জানান দাস। আইনি বিষয়ে সাফল্যের সম্ভাবনাও প্রবল।
  5. মীন রাশি
    মীনের জাতকদের জন্য শনি সম্পদ বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবে। “অতিরিক্ত আয় ও আধ্যাত্মিক শান্তি মিলবে,” বলেন শর্মা। ব্যবসায় নতুন চুক্তি আসতে পারে।

অন্য রাশিগুলোর কী হবে?

মেষ, কন্যা, ধনু, মকর ও কুম্ভ রাশির জন্য এই সময় চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। “মেষে চাপ, কন্যায় আর্থিক বাধা, ধনুতে বিলম্ব, মকরে স্বাস্থ্য সমস্যা ও কুম্ভে পরিশ্রমের ফল বিলম্বিত হতে পারে,” সতর্ক করেন দাস। তবে, ধৈর্য ও পরিকল্পনা দিয়ে এরা ক্ষতি কমাতে পারে।

বিশ্লেষণ: শনির প্রভাব কেন গুরুত্বপূর্ণ?

শনি জ্যোতিষে ন্যায় ও কর্মের প্রতীক। প্রতিগামী সময়ে এর প্রভাব তীব্র হয়, পুরনো কাজের হিসেব দ্রুত মেটায়। “যারা অতীতে পরিশ্রম করেছেন, তাদের পুরস্কৃত করবে শনি,” বলেন শর্মা। ভারতে ৬০% মানুষ জ্যোতিষে বিশ্বাসী, এবং শনির এই গতি তাদের জীবনে আশা ও পরিকল্পনার নতুন দিশা দেখাতে পারে। তবে, বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, “কর্মই প্রধান, গ্রহ শুধু পথ দেখায়।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *