হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে অগ্নি পঞ্চকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, যা ২২ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এই পাঁচ দিন শুভ কাজের জন্য নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়। জ্যোতিষীদের মতে, চাঁদ ধনিষ্ট থেকে রেবতী নক্ষত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় পঞ্চক হয়, যখন অশুভ কাজ এড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

অগ্নি পঞ্চকের সময় কাঠ সংগ্রহ, বাড়ির ছাদ নির্মাণ, শবদাহ, খাট তৈরি বা দক্ষিণে ভ্রমণ অশুভ বলে গণ্য হয়। গরুড় পুরাণ অনুসারে, এই সময় মৃত্যু হলে পরিবারের আরও পাঁচজনের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। এটি এড়াতে মৃতদেহের সঙ্গে কুশ বা ময়দার পাঁচটি পুতুল দাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। জ্যোতিষী পণ্ডিত রমেশ শর্মা বলেন, “অগ্নি পঞ্চকে মাটি খনন বা অগ্নিসংক্রান্ত কাজ এড়ালে অশুভ ফল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।” তবে, এই সময় আইনি বিষয়ে শুভ ফলাফলের সম্ভাবনা থাকে।

বিশ্লেষকরা জানান, পঞ্চকের নিয়ম পালন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ। এই সময় সতর্কতা অবলম্বন না করলে অশুভ পরিণতির আশঙ্কা থাকে। তাই, ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল এই কাজগুলো এড়িয়ে নিরাপদ থাকুন।