শিশুদের ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ, কীভাবে সুস্থ রাখবেন?

নয়া দিল্লি: লিভার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা খাদ্য হজম থেকে রক্ত সরবরাহ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু আজকাল শিশুরাও ফ্যাটি লিভারের শিকার হচ্ছে, যার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। দিল্লির বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. অজয় কুমার বলেন, “শিশুদের ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক লক্ষণ চিনে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।” পর্যটন সংকটের এই সময়ে, যখন অনেকে বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন, শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।
ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, পেটে ব্যথা ও ক্ষুধামান্দ্য। এই লক্ষণগুলি প্রায়ই অবহেলা করা হয়, যতক্ষণ না লিভার গ্রেড-২ ফ্যাটি লিভারে রূপান্তরিত হয়। ডা. কুমার সতর্ক করে বলেন, “গ্রেড-১ ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা সহজ, কিন্তু গ্রেড-২ হলে জটিলতা বাড়ে।” গুরুতর লক্ষণগুলির মধ্যে চোখের হলুদ হওয়া, পেটে ফোলাভাব ও পায়ে ফোলা অন্তর্ভুক্ত। এই লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অস্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন তৈলাক্ত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি, লিভারে চর্বি জমার প্রধান কারণ।
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সুষম খাদ্য অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি ও সাবেক শস্য যুক্ত করুন। ভাজাপোড়া ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। ডা. কুমার পরামর্শ দেন, “প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম, যেমন হাঁটা বা খেলাধুলা, লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।” ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন সংকটের এই সময়ে বাড়িতে শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুললে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। প্রাথমিক সতর্কতা ও নিয়মিত চেকআপ শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারে।