মুখে বারবার ছালা কোন রোগের লক্ষণ? জানুন কারণ ও প্রতিরোধের উপায়

কলকাতা: মুখে ছালা একটি সাধারণ সমস্যা, যা সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। এগুলো সংক্রামক নয় এবং সাদা, লাল বা হলুদ রঙের হতে পারে। তবে, বারবার মুখে ছালা হওয়া গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যেমন মুখের ক্যানসার। এই ছালাগুলো মাড়ি, ঠোঁট, জিভ, গালের অভ্যন্তরীণ অংশ বা তালুতে হতে পারে। “বারবার ছালা হলে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়, কারণ এটি গুরুতর রোগের সংকেত হতে পারে,” বলেন দন্ত বিশেষজ্ঞ ডা. প্রিয়া শর্মা।
মুখে ছালার প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে তনाव, ভিটামিন বি-১২ ও আয়রনের ঘাটতি, ভাইরাল সংক্রমণ, পেটের সমস্যা, অটোইমিউন রোগ এবং তামাক সেবন। এগুলোর মধ্যে কিছু সাধারণ ছালা (যেমন অ্যাফথাস আলসার) থেকে শুরু করে জটিল অবস্থা যেমন ওরাল লাইকেন প্ল্যানাস, লিউকোপ্লাকিয়া বা মুখের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ছালার সঙ্গে তীব্র ব্যথা, জ্বর, বা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে না সারা গুরুতর অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। “মুখের ছালা প্রায়ই পুষ্টির ঘাটতি বা হজমের সমস্যার ফল, তবে ক্রমাগত ছালা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়,” বলেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. রাজীব মেহতা।
প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করে মুখ পরিষ্কার রাখুন। অতিরিক্ত মশলাদার বা ভাজা খাবার এড়িয়ে ফল, শাকসবজি, দুধ ও দইয়ের মতো পুষ্টিকর খাবার খান। তামাক ও অ্যালকোহল বন্ধ করুন, কারণ এগুলো ছালার প্রধান কারণ। তনাব কমাতে যোগব্যায়াম বা ধ্যানের সাহায্য নিন। “সুষম খাদ্য ও মানসিক শান্তি মুখের ছালা কমাতে সাহায্য করে,” বলেন পুষ্টিবিদ ডা. সুজিতা রায়। যদি ছালা দুই সপ্তাহের বেশি থাকে বা ব্যথা অসহ্য হয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুখের ছালা প্রতিরোধে সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস আপনাকে এই সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে। বারবার ছালা হলে উপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।