লো ক্যালোরি ডায়েটে ওজন কমানোর চেষ্টা? বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শ জেনে নিন

লো ক্যালোরি ডায়েটে ওজন কমানোর চেষ্টা? বিশেষজ্ঞের এই পরামর্শ জেনে নিন

আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষ নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন না, ফলে স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হন। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে ওজন বৃদ্ধি এখন সাধারণ সমস্যা। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ স্থূলতা স্বাস্থ্যের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। এজন্য অনেকে ওজন কমাতে বিভিন্ন ডায়েট অনুসরণ করেন।

ওজন কমানোর জন্য কেউ কেউ কিটো ডায়েট, ভেগান ডায়েট বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মতো পদ্ধতি বেছে নেন। এর মধ্যে একটি জনপ্রিয় পছন্দ হলো লো ক্যালোরি ডায়েট। ওজন কমাতে ক্যালোরি গ্রহণ কমানো বা বার্ন করা প্রয়োজন বলে অনেকে খাদ্যতালিকায় লো ক্যালোরি খাবার যোগ করেন। তবে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ক্যালোরি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিকেল ইনস্টিটিউটের প্রধান ডায়েটিশিয়ান ডা. প্রিয়া পালিওয়াল বলেন, “লো ক্যালোরি ডায়েট হলো এমন একটি খাদ্যাভ্যাস, যেখানে আমরা দৈনিক চাহিদার তুলনায় কম ক্যালোরি গ্রহণ করি। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে ২০০০-২৫০০ ক্যালোরির প্রয়োজন হয়, কিন্তু লো ক্যালোরি ডায়েটে এটি ১২০০-১৫০০ ক্যালোরিতে নামিয়ে আনা হয়।”

এই ডায়েট শরীরে জমে থাকা চর্বি শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে, ফলে ধীরে ধীরে ওজন কমে। এটি রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে ডা. পালিওয়াল সতর্ক করে বলেন, “এই ডায়েটের কারণে দুর্বলতা, ক্লান্তি, বিরক্তি, পুষ্টির ঘাটতি ও বিপাক ক্রিয়া মন্থর হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এটি গ্রহণ করলে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।” গর্ভবতী নারী, বয়স্ক ব্যক্তি, শিশু বা গুরুতর রোগে আক্রান্তরা এটি নিজের ইচ্ছায় শুরু করবেন না।

লো ক্যালোরি ডায়েট শুরু করার আগে শরীরের চাহিদা, পুষ্টি উপাদান এবং ডায়েটের সময়কাল বিবেচনা করা জরুরি। খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপস করবেন না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আপনার জীবনযাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী সঠিক ডায়েট পরিকল্পনা করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *