জেনে নিন এসির ঠান্ডায় ৬টি ক্ষতি ও সমাধান!

এয়ার কন্ডিশনার (এসি) গরমে আরাম দিলেও দিনরাত এর ব্যবহার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ক্রমাগত এসির ঠান্ডা বাতাসে থাকলে হাড়, জয়েন্ট, ত্বক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসির শুষ্ক বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা শোষণ করে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও চুলকানি হয়। এছাড়া, ঠান্ডা তাপমাত্রায় দীর্ঘক্ষণ থাকলে পেশী শক্ত হয়ে যায়, রক্ত সঞ্চালন কমে এবং হাড়-জয়েন্টে ব্যথা বা শক্তভাব দেখা দেয়। শ্বাসনালীর ঝিল্লি শুকিয়ে গিয়ে অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বাড়তে পারে। এমনকি, এসির কারণে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে। এই সমস্যাগুলি এড়াতে সঠিক সতর্কতা ও ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার জরুরি।
এসির ক্ষতি কমাতে কিছু সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। ঘরের তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন এবং বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ৭-৮ ডিগ্রির বেশি পার্থক্য এড়ান। ত্বকের শুষ্কতা রোধে হিউমিডিফায়ার বা এক বাটি জল ঘরে রাখুন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। প্রচুর জল পান এবং মাঝেমধ্যে স্ট্রেচিং বা হাঁটাচলা করুন। শ্বাসকষ্ট এড়াতে এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং জানালা খুলে প্রাকৃতিক বাতাস প্রবেশ করতে দিন। ক্লান্তি বা মাথাব্যথা রোধে প্রতি ২-৩ ঘণ্টা তাজা বাতাসে শ্বাস নিন এবং তাপমাত্রা খুব কম (১৮-২০ ডিগ্রি) রাখবেন না। ঘাড় বা পিঠে ব্যথা এড়াতে সরাসরি এসির বাতাস থেকে শরীর ঢেকে রাখুন। এই সতর্কতাগুলি মেনে চললে এসির আরাম উপভোগ করা যায় ক্ষতি ছাড়াই।