মাত্র ৮ বছরে পিরিয়ড! সতর্ক হোন-এই অভ্যাসেই লুকিয়ে বিপদ

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, যা অনেক অভিভাবকেরই কপালে ভাঁজ ফেলেছে। মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যাচ্ছে, যা চিকিৎসা পরিভাষায় ‘প্রিকশাস পিউবার্টি’ নামে পরিচিত। বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর আগেই কেন এই পরিবর্তন আসছে? এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ, যা সঠিকভাবে মেনে চললে আপনি আপনার সন্তানের অকাল ঋতুস্রাব রোধ করতে পারবেন। এটি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো অত্যাধিক রাসায়নিকের প্রভাব। প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী, যেমন ঘর পরিষ্কারের জিনিসপত্র, শৌচাগার ক্লিনার, এমনকি সুগন্ধি থেকেও নির্গত রাসায়নিক মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। এর ফলে হরমোনের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। চিকিৎসকরা এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থকে দায়ী করছেন, যার নাম ‘এন্ডোক্রিন ডিসরাপশন’। এটি শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
এছাড়াও বর্তমান জীবনযাত্রার ধরনও এর জন্য দায়ী। জাঙ্ক ফুড ও ফাস্ট ফুডের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, সারাক্ষণ মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা, এবং পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপের কারণে খেলাধুলা কমে যাওয়া—এই সব কিছুই শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অল্প বয়সেই স্থূলতা বা ওবেসিটির কারণে শরীরে ফ্যাট ও অ্যাডিপোস কোষের আধিক্য মেয়েদের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বয়ঃসন্ধির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই শিশুদের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা এবং নিয়মিত শাক-সবজি, ফলমূল ও হোল গ্রেন জাতীয় খাবার ডায়েটে যোগ করা অত্যন্ত জরুরি।