মাথা গরম হচ্ছে? গ্রহের দোষ কি পিছনে লুকিয়ে?

মাথা গরম হচ্ছে? গ্রহের দোষ কি পিছনে লুকিয়ে?

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অল্পতেই রাগে ফেটে পড়া শুধু মানসিক সমস্যা নয়, এর পিছনে গ্রহদোষের প্রভাব থাকতে পারে। মঙ্গল, রাহু, শনি এবং চন্দ্রের অশুভ অবস্থান মানুষের আচরণে রাগ ও অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। মঙ্গল, যাকে ‘যোদ্ধা গ্রহ’ বলা হয়, অশুভ স্থানে থাকলে ‘মাঙ্গলিক দোষ’ তৈরি করে, যার ফলে ব্যক্তি হঠাৎ রেগে যায় বা তাড়াহুড়ো করে প্রতিক্রিয়া দেখায়। রাহুর প্রভাবে মানুষ অহেতুক উত্তেজিত হয় এবং বিভ্রান্তিতে ভোগে। শনির অশুভ অবস্থান, বিশেষ করে সাড়ে সাতি বা ধৈয়ার সময়, ধৈর্য হারানোর প্রবণতা বাড়ায়। চন্দ্র যদি কুণ্ডলীতে দুর্বল বা অশুভ গ্রহের প্রভাবে থাকে, তবে মানসিক অস্থিরতা ও রাগ বৃদ্ধি পায়, যা মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এই গ্রহদোষগুলো ব্যক্তির জীবনে উত্তেজনা ও অশান্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এই রাগ নিয়ন্ত্রণে জ্যোতিষশাস্ত্রে কিছু প্রতিকারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকালে চন্দ্র ও শিবের জন্য জল দান, ‘ওঁ শ্রী হনুমতে নমঃ’ মন্ত্র জপ, রক্ত দান বা লাল বস্তু দান করা উপকারী। মঙ্গলবার ও শনিবার উপোস করে মঙ্গল ও শনিদেবের পুজো করলে গ্রহদোষ কমে। শান্তির জন্য রুদ্রাভিষেক বা মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপও কার্যকর। এই প্রতিকারগুলোর পাশাপাশি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতার মাধ্যমে রাগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। জ্যোতিষীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই গ্রহদোষের প্রভাব বোঝা এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *