রাতে ঘুমানোর সময় কি আপনার পায়ে তীব্র ব্যথা হয়? জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার

রাতে গভীর ঘুমে হঠাৎ পা ভারি হয়ে আসে এবং আমরা যন্ত্রণায় জেগে উঠি। পায়ের পেছনের মাংসপেশিতে একবার টান ধরলে তা খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়। পায়ে ঝিনঝিন করে এবং মাংসপেশিতে হাত দিলেই চিৎকার করতে ইচ্ছা করে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মাংসপেশি আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়, তবে ওই কয়েক মিনিট খুবই কষ্টকর হয়। শুধু ঘুমানোর সময় নয়, হাঁটার সময়ও পায়ে টান ধরে। দৌড়ানোর সময় বা খেলার সময়ও এমনটা হয়। আপনারও কি প্রায়শই মাংসপেশিতে টান ধরে? তাহলে এর কারণ জেনে নিন। যদি বারবার এমনটা হয়, তাহলে তা কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। শরীরে কোনো কিছুর অভাব থাকতে পারে। সময়মতো কারণ খুঁজে বের করা ভালো, তাহলে ব্যথা বাড়ে না।
মাংসপেশিতে টান সাধারণত পেশি সংকোচনের কারণে হয়, যাকে আমরা মাসল ক্র্যাম্প বলি। পায়ের পেছনের মাংসপেশিতে হঠাৎ করে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা শুরু হয়। এই সংকোচনের পেছনেও কিছু কারণ থাকে। শরীরে জলের পরিমাণ কম হলে পেশির উপর প্রভাব পড়ে। এছাড়া, শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইট কমে গেলে পায়ের মাংসপেশিতে টান ধরে। আরও অনেক কারণ থাকতে পারে।
বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকলেও এমন সমস্যা হয়। পায়ের বিশ্রাম প্রয়োজন। ভারী ওয়ার্কআউট করলেও টান ধরে। শরীরের চাপ পায়ের উপর পড়ে, বিশেষ করে পেছনের মাংসপেশির উপর। তাই ব্যায়াম করার সময় পায়ে টান ধরে।
পরিবেশের বিষয়টিও বিবেচনা করা উচিত। ঠান্ডা পরিবেশে পেশি সংকোচন বেশি হয়। তাই শীতকালে রাতে শরীর শক্ত হয়ে যায়। এসিতে বেশিক্ষণ বসে থাকলেও সংকোচন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
রক্ত সঞ্চালনে কোনো সমস্যা হলেও পায়ের মাংসপেশিতে টান ধরে। পেশিতে রক্ত কম পৌঁছালে তাদের শক্তি কমে যায়। শক্তির অভাবেও ক্র্যাম্প হয়। স্নায়ুতন্ত্রের কিছু সমস্যা থাকলেও ক্র্যাম্প হতে পারে। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও পায়ে টান ধরে।
এই ধরনের টান এড়াতে প্রচুর জল পান করুন। মালিশ করুন। প্রচুর জল পান করুন। শরীরকে সতেজ রাখতে ব্যবস্থা নিন। যদি বারবার এমনটা হয়, তাহলে সময়মতো চিকিৎসকের কাছে যান।