হৃদয়ের গোপন শত্রু ধরতে একটি পরীক্ষা, কোলেস্টেরলের সত্য প্রকাশ!

উচ্চ কোলেস্টেরল আজকাল একটি সাধারণ স্বাস্থ্য ঝুঁকি, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা একটি কার্যকর সমাধান। এই রক্ত পরীক্ষা শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা পরিমাপ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মোট কোলেস্টেরল, LDL (খারাপ কোলেস্টেরল), HDL (ভালো কোলেস্টেরল), ট্রাইগ্লিসারাইড এবং VLDL পরীক্ষা করে। LDL-এর উচ্চ মাত্রা ধমনীতে প্লাক জমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যেখানে HDL হৃদয়কে সুরক্ষিত রাখে। নিয়মিত এই পরীক্ষা সময়মতো সমস্যা শনাক্ত করে প্রতিরোধে সাহায্য করে। ২০ বছরের বেশি বয়সীদের বছরে অন্তত একবার এই পরীক্ষা করানো উচিত। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, ব্যায়াম ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা সাধারণত সকালে খালি পেটে করা হয়, কারণ খাবার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। রোগীকে ৯-১২ ঘণ্টা উপবাসের পর রক্তের নমুনা দিতে হয়, যা পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করা হয়। LDL মাত্রা ফ্রিডওয়াল্ড সূত্র (LDL = মোট কোলেস্টেরল – HDL – ট্রাইগ্লিসারাইড/৫) ব্যবহার করে গণনা করা হয়, যা ট্রাইগ্লিসারাইড ৪০০ মি.গ্রা./ডেসিলিটারের নিচে থাকলে কার্যকর। LDL মাত্রা ১০০ মি.গ্রা./ডেসিলিটারের নিচে থাকা আদর্শ, এবং ১৩০-এর বেশি হলে ঝুঁকি বাড়ে। এই পরীক্ষা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ফলাফলের ব্যাখ্যা ও চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।