গ্রীষ্মকালকে ফলের ঋতুও বলা হয়। এই ঋতুতে এমন সব ফল পাওয়া যায় যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। আজকের দিনে বেশিরভাগ মানুষ ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন।

গ্রীষ্মকালে ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম এবং ঘামের কারণে শরীরে জলের অভাব দেখা যায়। এতে সুগার হাই বা লো হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে কিছু ফল আছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রামবাণের মতো কাজ করে।

জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত ভালো বিকল্প। এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিনও পাওয়া যায়। জামুনে জ্যামবোলিন (Jamboline) থাকে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনকে উৎসাহিত করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রামবাণ চিকিৎসার মতো কাজ করে। জামুনের বীজও সুগার নিয়ন্ত্রণে উপকারী। এর বীজের গুঁড়ো বানিয়ে খেলে অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা পাওয়া যায়।

জামুনের অন্যান্য উপকারিতা
সুগার নিয়ন্ত্রণ: জামুনে থাকা জ্যাম্বোসিন (Jambosin) নামক উপাদান শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
ইনসুলিন উৎপাদনে উন্নতি: এটি শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে। এর ফলে সুগারের মাত্রা সঠিক থাকে।
হজমতন্ত্রে উপকারী: জামুনে ফাইবার থাকে, যা হজমতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে অ্যাসিডিটি (acidity) এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের (constipation) সমস্যা দূর হয়।
ঠান্ডা রাখা: জামুন শরীরকে শীতল রাখে। এটি গ্রীষ্মকালে রামবাণ চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। জামুনকে মানুষ সালাদ বা রায়তাতেও (raita) তৈরি করে খেতে পারে।